শেষ আপডেট: 13th January 2025 07:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্ধে নামলেই পথ ঘাট খাঁ খাঁ! মানুষ তো বটেই গত চারদিন ধরে মৈপীঠে কার্যত ঘরবন্দি রাখা হয়েছিল গৃহপালিত জীবজন্তুকেও। অবশেষে রবিবার রাতে বন দফতরের ছাগলের টোপে খাঁচাবন্দি হয়েছে বাঘ। মুহূর্তে সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঘ দেখথে মধ্যরাতেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে বাসিন্দাদের বাঘ দেখার সাধ পূরণ হয়নি। কারণ, ত্রিপলে করে বাঘের খাঁচা ঢেকে রাতেই নৌকায় করে বাঘটিকে নিয়ে গিয়েছেন বনকর্মীরা। তবে এলাকায় একটিই বাঘ নাকি দুটি হানা দিয়েছিল, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে গ্রামবাসীরা। কারণ, গত ৪ দিন ধরে যেভাবে ১৫ কিমি এলাকা জুড়ে বাঘের 'মুভমেন্ট' সামনে এসেছে, তাতে জোড়া বাঘের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গ্রামবাসীরা।
রাজ্যের আর এক প্রান্ত জঙ্গলমহলেও নতুন করে বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে টানা ১০ দিন বেলপাহাড়ি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার জঙ্গল দাপিয়ে বেরিয়েছিল বাঘিনি জিনাত। এবার সেখানে জিনাতের সঙ্গীর দেখা মিলেছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের একাংশের। বাঘকে বাগে আনতে তৎপর বন দফতরও। তবে বেলপাহাড়ি-পুরুলিয়ায় এখনও জিনাতের সঙ্গীকে পাকড়াও করতে পারেনি বন দফতর।
জানা যাচ্ছে, গত ৬ জানুয়ারি মৈপীঠের কিশোরীমোহনপুর শ্রীকান্তপল্লিতে প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। পরের দিন দক্ষিণ বৈকুণ্ঠপুরে। এরপরই উত্তর বৈকুণ্ঠপুর। একদিনের ব্যবধানে ৯ জানুয়ারি নগেনাবাদ। ১২ জানুয়ারি বৈকুণ্ঠপুরে একেবারে গঙ্গার ঘাটে বাঘের পায়ের ছাপ।
সব মিলিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল মৈপীঠের বাসিন্দাদের মধ্যে। বেশ কয়েকটি গবাদি পশুও বাঘের আক্রমণের শিকার হয়। এরপরই মৈপীঠের বৈকুণ্ঠপুরে গঙ্গার ঘাটে বাঘের পায়ের টাটকা ছাপের সূত্র ধরে সংলগ্ন জঙ্গল খাঁচা দিয়ে ঘিরেছিলেন বনকর্মীরা। টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল ছাগল। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ সেই টোপেই পা দিয়ে খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
তবে বেলপাহাড়ি-পুরুলিয়ায় ফিরেছে বর্ষশেষে দাপিয়ে বেড়ানো বাঘিনি জিনাতের আতঙ্ক! জিনাতের সঙ্গীকে বাগে আনতে মরিয়া বন দফতর। কিন্তু পায়ের ছাপ ছাড়া বাঘিনির সঙ্গীর বিশেষ ট্রেস এখনও করতে পারেননি বন দফতর।