শেষ আপডেট: 11th February 2021 12:31
বিশেষ বিমানের অনুমতি মেলেনি, রাজ্যপাল বিমান বন্দরে বসে রইলেন দু'ঘণ্টা
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বৃহস্পতিবার সকালে নিজের রাজ্য উত্তরাখণ্ডে যাচ্ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। কিন্তু তাঁকে বিশেষ সরকারি বিমান ব্যবহারের অনুমতি দিল না সরকার। বাধ্য হয়ে তাঁকে বেসরকারি সংস্থার বিমানে উঠতে হল। তিনি দেরাদুন থেকে একটি বাণিজ্যিক বিমানে ওঠেন। এদিন সকাল ১০ টায় রাজ্যপালের রওনা হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী আগেই তাঁর জন্য রাজ্য সরকারের একটি বিমান বুক করা হয়। কিন্তু সেই বিমান ওড়ার অনুমতি পায়নি। একটি সূত্রে খবর, সাধারণত রাজ্যপালরা বিমান ওড়ার অনুমতি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন না। এক্ষেত্রে ভগৎ সিং কোশিয়ারি সরকারি বিমান উঠে বসেছিলেন। কিন্তু পাইলট বলেন, যেহেতু অনুমতি মেলেনি, তাই তিনি বিমান ওড়াবেন না। পরে রাজ্যপালের অফিস থেকে বেসরকারি বিমানের সিট বুক করা হয়। ১২ টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ রাজ্যপাল বিমানে উড়ে যান। এর আগে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি সরকার একাধিকবার অভিযোগ করেছে, রাজ্যপাল বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন। এদিনের ঘটনার পরে বিজেপি অভিযোগ করেছে, প্রতিহিংসাবশত রাজ্যপালকে সরকারি বিমানে চড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। এতে রাজ্যপাল অপমানিত হয়েছেন। বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে ১২ জনকে মনোনয়ন করা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ শুরু হয়েছে। সরকার যাঁদের নামগুলি পাঠিয়েছে, রাজ্যপাল এখনও তাঁদের অনুমোদন করেননি। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগানতিয়ার বলেন, "রাজ্য সরকার যদি ইচ্ছা করে রাজ্যপালকে সরকারি বিমানে চড়ার অনুমতি না দেয়, তা হলে কলঙ্কিত হয়েছে রাজ্য। যদি এই ভুল ইচ্ছাকৃত না হয়, তাহলে যে অফিসারের জন্য বিমানের অনুমতি দিতে দেরি হয়েছে, তাঁকে সাসপেন্ড করা উচিত।" শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় রাউত বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে রাজনীতি নেই। তাঁর কথায়, "আমরা কারও বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছি না। কেউ যদি ভাবেন, তিনি বিধান পরিষদে ১২ জনের নামে অনুমোদন দেননি বলে আমরা তাঁর বিমান উড়তে দিইনি, তিনি ঠিক ভাবছেন না।" শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদি বলেন, সরকারি কাজে ছাড়া কেউ বিশেষ সরকারি বিমান ব্যবহার করতে পারেন না। রাজ্যপাল ব্যক্তিগত কাজে উত্তরাখণ্ডে যাচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বলেছেন, আমাদের ভিভিআইপি কালচার বর্জন করতে হবে। কেউ ব্যক্তিগত কাজে সরকারি বিমান ব্যবহার করতে পারেন না।"