শেষ আপডেট: 10th March 2025 11:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খেলার মাঠের লড়াই এবার তৃণমূলের অন্দরে!
রবিবার অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেশকে জিতিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তারপরই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) টুইটার হ্যান্ডেলে ভেসে উঠেছে একটি পোস্ট। তাতে কুণাল লিখেছেন, 'রোহিতের এই সাফল্যের পেছনে অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য !!!!!'
কে এই অধ্যাপক রায় তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি কুণাল। তবে কুণালের এই পোস্টের সঙ্গে অনেকেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, সুযোগ পেয়ে সৌগতকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। সোশ্যাল মাধ্যমে এ নিয়ে জোর ঠাট্টা তামাশাও চলছে।
কৌতূহলের বিষয় কুণাল আবার বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটাই করেননি। তাঁর মতে, "আমার ইচ্ছে হয়েছে লিখেছি! যে যার মতো করে বুঝবে!"
রোহিতের এই সাফল্যের পেছনে অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য !!!!! pic.twitter.com/5N3jLGIPcj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 9, 2025
ঘটনার সূত্রপাত, সম্প্রতি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এমনকী রোহিতের চেহারা (মোটা) নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রবিবার ফাইনাল ম্যাচে সেই রোহিতই ৭টি চার, ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৭৬ রান করে শুরুতেই ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নেন। আর ভারত জিততেই রোহিতের ইনিংসের জন্য অধ্যাপক রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কুণাল। ফলে অনেকেই বিষয়টিকে দুয়ে দুয়ে চার করে দেখতে চাইছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সৌগতর সাফ কথা, "আমি সোশ্যাল মাধ্যম দেখি না। কে কী লিখল, তা নিয়ে আমার কোনও কৌতূহল নেই। তখন ভাল খেলেনি, তাই দর্শক হিসেবে সমালোচনা করেছিলাম। এখন ভাল খেলেছে, প্রশংসা করছি।" একই সঙ্গে সৌগতর কথায়, "তবে রোহিতের অত তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি। তা না হলে তো ওভাবে স্ট্যাম্প আউট হতে হয় না!"
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রোহিত উপলক্ষ্য মাত্র। তাঁদের মতে, সুযোেগ পেলেই সৌগতকে খোঁচা দেন কুণাল। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হওয়া নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বর কথা মনে করাচ্ছে।
সে সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সব পেশায়, যেমন বয়সের উর্ধ্বসীমা থাকে, তেমনই রাজনৈতিক দলেও থাকা উচিত। কারণ, বয়স বাড়লে মানুষের প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। তিরিশ চল্লিশ বছর বয়সে একটা মানুষ যতটা দৌড়ে কাজ করতে পারেন, সত্তর বছরে পৌঁছে তা করা যায় না।”
এরপরই সৌগত রায় বলেছিলেন, "রাজনীতিতে কেউ শ্রমিক নন, তাই কারখানার মতো উৎপাদনশীলতা মাপা যাবে না। কারণ, এখানে তাঁদের অবদান পুরোটাই বৌদ্ধিক।"
এরপরই নাম না করে সৌগতর উদ্দেশে কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দলের কিছু লোক মনে করেন বছরের পর বছর সাংসদ হওয়াটা তাঁদের জন্মগত অধিকার। দেহত্যাগ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ করতে তাঁরা রাজি নন। তাঁরা এও মনে করেন, দলের এক শ্রেণির কর্মী জন্মেছেন শুধু তাঁদের জন্য দেওয়াল লিখতে!
কর্মীদের অনেকের মতে, এবার খেলার মাঠকে কেন্দ্র করেও সেই দ্বন্দ্ব সামনে এল!