শেষ আপডেট: 30th May 2024 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বরাবরই ঠোটকাঁটা বলে পরিচিতি। কোনও রাখঢাক নেই। সোজা কথা পষ্ট করে বলে দেন। বৃহস্পতিবার অনেক দিন পর সেই শ্রীলেখা তর্কে ফিরলেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ধরে ভেসে উঠলেন বিতর্কে।
বিতর্কের বিষয় ঋতুপর্ণা ও রেশন দুর্নীতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খবর, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত সূত্রে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। যা নিয়ে হই হই পড়ে গিয়েছে বাংলায়।
এ খবর চাউর হতে সোশাল মিডিয়াতেও নানা মুনি নানা কথা লিখছেন। সেরকমই সৌরভ দত্ত নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “রোজভ্যালি, রেশন- অনেক দুর্নীতিতেই নাম জড়াচ্ছে ঋতুপর্ণার। কিন্তু টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থাকবে নীরব! এই মেরুদণ্ডহীনতা নিয়ে এরাই আবার মাঝে মধ্যেই জ্ঞানের যত দার্শনিক উক্তি করে।”
সৌরভের সেই পোস্ট ধরে শ্রীলেখা লিখেছেন, “যাক কেউ কেউ বোঝে তাহলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু চুপ।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অবশ্য দ্য ওয়ালকে জানিয়েছেন, তিনি ইডির তলবের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কোনও চিঠিও পাননি। মায়ামি থেকে ঋতুপর্ণা ফোন বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যম থেকেই এসব শুনছি। রেশন দুর্নীতি কী আর কীসের নোটিস, কিছুই আমি জানি না।” ঋতুপর্ণা আরও বলেন, “বাড়িতে খোঁজ নিয়েছি, কোনও চিঠি আসেনি। আমার অফিসেও কোনও চিঠি আসেনি।” অভিনেত্রী বলেন, চিঠি পেলে না হয় আইনি পরামর্শ নেব।
ঋতুপর্ণাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব করার ঘটনা নতুন নয়। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে তাঁকে চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির বেআইনি লেনদেন মামলায় তলব করা হয়েছিল। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। তার পর সব কিছু থিতিয়েই গেছিল। আর তাঁকে ডাকাডাকি করতে দেখা যায়নি।
ঋতুপর্ণা এদিন আরও জানান, তাঁর নতুন ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। “তার আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব হয়তো কেউ রটিয়ে দিচ্ছে। আমার মানহানির চেষ্টা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এটা অন্যায়”। এই ঘটনায় মিডিয়ার একাংশ হাওয়া দিচ্ছে বলেও অভিমান অভিনেত্রীর।
ঋতুপর্ণাকে নিয়ে এর আগেও কটাক্ষ করেছিলেন শ্রীলেখা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর শ্রীলেখা বলেছিলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গডফাদার হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি কোনও কিছুর বিনিময়ে তোমায় কাজ পাইয়ে দেবেন। আমার সেই অর্থে কোনও গডফাদার ছিল না। সেসময় মূলত, প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস দা (তাপস পাল) এরাই মূলত ইন্ডাস্ট্রি চালাত। তার মধ্যে বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ) নম্বর ওয়ান, তিনি ইন্ডাস্ট্রি। সেসময় আমাকে প্রথমেই নায়িকার চরিত্র দেওয়া হয়নি। পার্শ্ব চরিত্রই করতে হয়েছে। আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। কারণ, তখন ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রসেনজিৎ-এর প্রেম। কারণ, মূলত বুম্বাদাই ইন্ডাস্ট্রি চালাত। ঋতুপর্ণা দেরি করে আসতেন, তারপরও তাঁকেই নায়িকার চরিত্রে নেওয়া হত। সেকারণেই টেলিভিশনেই বেশি কাজ করতে শুরু করি। আমি তো কারোর সঙ্গে জুটিই করতে পারলাম না। আজ অবধি, আমার কোনও হিরো, পরিচালক, প্রযোজক কেউই প্রেমিক হয়নি। তাহলে আমায় কে কাজ দেবে? তার উপর আমি ট্যারা কথা বলি, সুন্দরি হওয়ার সুযোগও নিই না। ''
এদিন ঋতুপর্ণাকে ইডি নোটিসের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে শ্রীলেখা এও বলেন, আমি একটা কথাই বলেছি, বড় হওয়ার সহজ উপায়। বড় হতে গেলে ইডির তলব পেতে হয়।