শেষ আপডেট: 6th October 2024 11:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর আগের শেষ রবিবার। মেঘলা আবহাওয়া। কিন্তু থলে হাতে বাজারে গিয়ে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে যে!
পেফেও কেজি প্রতি বিকোচ্ছে ৪০-৫০ টাকা দরে! কাঁচা লঙ্কা ১৫০-১৭০। এমনকী কুমড়ো, পুুঁইশাঁকের মতো সবজিও দামের নিরিখে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে! ক্রেতারা বলছেন, খাব কী! বিক্রেতা বলছেন, জোগান কম।
বস্তুত, পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবজির দাম সেকারণে কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার টাক্স ফোর্স ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। জেলাগুলি থেকে শাক-সবজির দাম নিয়ে রিপোর্টও নেন। এমনকী মধ্যবিত্তের সুবিধার্থে রাজ্যের চালু করা সুফল বাংলার স্টলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি মিলবে বলে আশ্বাসও দেন।
টাক্স ফোর্সের তরফেও জানানো হয়েছে, তাঁরা কলকাতা এবং জেলার বাজারগুলিতে মাঝেমধ্য়ে অভিযানও করছেন। তারপরও কীভাবে উর্ধ্বমুখাী সেই প্রশ্ন তুলছেন ক্রেতারা। বাড়তে বাড়তে রসুন এখন পাঁচশো টাকা কিলো! সামান্য পিছিয়ে আদা। খুচরো বাজারে কেজি প্রতি দাম ৩৮০ থেকে ৪০০। সেঞ্চুরি পার করেছে বেগুন, ঝিঙে। কিছুটা পিছনে শশা, পটল, উচ্ছে! আলুর দামও ৩০ এর নীচে নামেনি।
তবে এরই মধ্য়ে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্যের তরফে চালু করা সুফল বাংলার স্টলগুলি। এখানে বাজারের চেয়ে কিছুটা কম মূল্যে সবজি যেমন পাওয়া যায় তেমন আগের তুলনায় জোগানও যথেষ্ট পরিমাণ রাখা হচ্ছে। বেড়েছে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যাও।
যদিও ক্রেতাদের অনেকের বক্তব্য, সময়াভাবে বাড়ির সামনের মার্কেট থেকে বাজার করতে হয়। আর সেখানেই আকাশছোঁয়া সবজির দাম। অন্যদিকে সাধারন বাজারের দোকানিদের বক্তব্য, তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। দিনের শেষে লাভের গুড় মেলে না। দামের কারণে লোকে কিনছে কম।
তবে অনেকের মতে, বন্যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি মুনাফার লোভে কৃত্রিম চাহিদাও তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, এমন অনেক বাজার রয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার সঙ্গে যে বাজারের কোনও সম্পর্ক নেই, কখনও সবজি আসেও না, সেখানেও সবজির উর্ধ্বমুখী দাম ঘিরেই কালোবাজারির প্রশ্ন উঠছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ একান্ত আলাপচারিতায় বলছেন, এর পিছনে একটা গভীর চক্রও রয়েছে। যে সবজিটা হয়েছে সেটাও অনেকে বাজারে আনছেন না। আগে সংরক্ষণের এতটা ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নষ্ঠ হওয়ার ভয়ে অনেকেই উৎপাদিত সবজির সবরা বাজারে এনে বিক্রি করে দিতেন। এখন অনেকেই সবজি হিমঘরে রেখে দেন। দাম বাড়লে বাজারে ছাড়া হয়।
বিক্রেতারা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, দাম আরও বাড়বে। অর্থাৎ পুজোর পর সবজি হয়ে উঠতে পারে আরও মহার্ঘ।