শেষ আপডেট: 26th September 2024 22:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ-খুনের কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পদবি 'রায় নয়, রাই'। ওর বাড়ি বিহারে। গত ৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকেও আরজি কর-হাওড়া কাণ্ডে অভিযুক্তদের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বাড়তি সতর্কতার কথা বলেছেন।
জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনারা সব সময় বাইরের লোককে এগিয়ে দেন কেন? এই য়ে আরজি কর কাণ্ডে যে ধরা পড়েছে সে তো বিহারের লোক। হাওড়াতেও একটা বড় ঘটনা ঘটেছে কয়েকদিন আগে। সেক্ষেত্রেও তো অভিযুক্তর বাড়ি বিহারে।"
পরে এব্যাপারে প্রশাসনের এক কর্তার ব্যাখ্যা, বিহার মানেই খারাপ, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু একথা বলেননি। তিনি বলতে চেয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বাংলার লোককেই দায়িত্ব রাখা হবে না কেন? তাছাড়া অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হলে ভাষাগত সমস্যাও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই বিহারের বাসিন্দা। সম্প্রতি হাওড়া জেলা হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসাধীন এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের (চুক্তিভিত্তিক কর্মী) বিরুদ্ধে। তারও বাড়ি বিহারে।
এই দুটি ঘটনার জেরে বাইরের লোক সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি বৈঠকে হাজির ছিলেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার এবং বিভাগীয় প্রধানরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের শেষে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশে হাল্কা চালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন. "সুরক্ষার বিষয়ে তো আমরা তৎপর। প্রায় সব দাবিই পূরণ করা হল। সামনে পুজো, আশা করি, রাগ পড়েছে। এবার মন দিয়ে কাজ করুন।"