শেষ আপডেট: 31st August 2024 13:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জেরা করে চলেছেন তদন্তকারীরা। তাড়াহুড়ো করে দেহ সৎকার, ক্রাইম সিনে প্রচুর মানুষের ভিড়, বাড়ির লোককে ফোনে প্রথমে অসুস্থ, পরে গুরুত্র অসুস্থ এবং শেষে আত্মহত্যার কথা বলা, চাদর বিতর্ক-সহ একাধিক কারণে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে কর্তৃপক্ষ। এবার সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শীর্ষ আদালতে পুলিশের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ অগস্ট ৯টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ ছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরজি করেই রয়েছে পুলিশের আউটপোস্টও। তদন্তকারীরা বলছেন, ঘটনাস্থল অর্থাৎ চারতলার সেমিনার হল থেকে পুলিশ আউট পোস্টে পৌঁছতে বড়জোর ২ মিনিট সময় লাগার কথা। অথচ পুলিশকে সেদিন খবর দেওয়া হয়েছিল ১০টা ১০ মিনিটে। অর্থাৎ এত বড় একটি ঘটনা জানতে পারার ২৫ মিনিট পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল!
ঘটনার পরেই অভিযোগ উঠেছিল, আরজি করের থার্ড ফ্লোরের সেমিনার রুমে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে নানা রকম পরিবর্তন ঘটেছে। এবার এই ২৫ মিনিট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরাও। কেন ২৫ মিনিট দেরি করে পুলিশকে ডাকা হল? এই ২৫ মিনিট কী কী করা হয়েছে?
ইতিমধ্যে ক্রাইম সিনের ভিড়ের ভিডিও (এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি 'দ্য ওয়াল') ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোম। এই দেবাশিস সোম এখন সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে। এছাড়াও শান্তনু দে নামের এক আইনজীবী সেখানে উপস্থিত। তিনি সন্দীপ ঘোষের নিজস্ব আইনজীবী তথা ছায়াসঙ্গী বলে জানা গেছে। সন্দীপ ঘোষের আর এক ছায়াসঙ্গী প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা গেছে ওই ভিডিওর ভিড়ে।
এক অফিসারের কথায়, "ঘটনার দিন সকাল সকাল এই তিনজন কীভাবে পৌঁছে গেলেন ক্রাইম সিনে? তাও যদি ধরে নেওয়া যায়, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও দেবাশিস সোম হাসপাতালেই ছিলেন কাজের সূত্রে, কিন্তু অত সকালে আইনজীবী সেখানে কী করছিলেন?"
প্রসঙ্গত, ক্রাইম সিন থেকে তথ্য লোপাট করা হয়ে থাকতে পারে বলে শুরু থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এমন একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। যাতে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ।