শেষ আপডেট: 12th August 2024 08:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে রাজ্যে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও চিকিৎসক-পড়ুয়াদের ক্ষোভ এক ফোঁটা কমেনি। বরং সুরক্ষা এবং ন্যায়ের দাবিতে তাঁরা আরও জোরালো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বড় দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই নিয়েও তোলপাড় চলছে।
রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তাঁদের এও দাবি, আরজি করে মেয়ের ওপর ভীষণ চাপ ছিল। ঠিক কী অভিযোগ? নির্যাতিতার মা বলছেন, ''মেয়ে বলত, আমার আরজি করে যেতে ভাল লাগে না। কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।'' তবে বাবা যে অভিযোগ করেছেন তা আরও বিস্ফোরক। তাঁর দাবি, সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে সহযোগিতা পেত না তাঁর মেয়ে। এমনকী পাঁচজনের ডিউটিতে চারজন ছেলের মধ্যে একা ওকে রাখা হত, সেটাতে অসুবিধা হত। তিনি এও দাবি করেছেন যে, তাঁর মেয়েকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হতে পারে! যদিও স্পষ্টত কাদের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তাঁরা।
সোমবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজিকর পর্যন্ত মিছিল করার কথা আরজিকর-সহ কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের। তাতে সামিল হবেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা-বাবাও। এদিন সকাল থেকে আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল-সহ শহর এবং জেলার একাধিক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কাজেও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে রোগীদের এবং রোগীর পরিবারের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরজিকরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে মহিলা চিকিৎসক, ছাত্রী-সহ সার্বিকভাবে নারী সুরক্ষার জন্য ১৫ দফার নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে একটি জেনারেল বডি-র বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১২টি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা। তাতে আলাদা করে ৬ দফা দাবি তোলা হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই জঘন্য ঘটনা কি সে একাই ঘটিয়েছে, না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল? কারণ, তরুণীর ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তা এক কারও পক্ষে আদৌ করা সম্ভব কিনা, সে নিয়েই ধন্দ। মৃতার পরিবারও যে অভিযোগ করছে তাতে আরও সন্দেহ বাড়ছে একাধিক জনের এই ঘটনায় জড়িত থাকা নিয়ে।