ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 24 March 2025 14:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য সরকারের ভূমিকায় এখনও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা (Victim Parents)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, রাজ্যের চরিত্র আগে যা ছিল, এখনও তাই আছে, বদলাচ্ছে না!
সোমবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআই-এর থেকে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এক গুচ্ছ প্রশ্নও করা হয়েছে তাঁদের উদ্দেশে। এদিকে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছেন, গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে রাজ্য সরকারের ভূমিকা যা ছিল, এখনও তাই রয়েছে। নির্যাতিতার বাবার কথায়, ''রাজ্য সরকার একদিকে বলছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আবার আইনের দিক থেকে বাধা দেখাচ্ছে। তাঁরা কী চায়, পরিষ্কার করে বলছে না। যে চরিত্র রাজ্য সরকারের ৯ তারিখ থেকে দেখে আসছি, আজও সেই একই জিনিস।''
নির্যাতিতার মার দাবি, সিবিআই-কে বারবার বলে বোঝাতে পারেননি যে এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। মোটিভ ধর্ষণ ছিল না, খুনই ছিল। তাঁর বক্তব্য, ''হাসপাতালের দুর্নীতির অনেক কিছু মেয়ে জেনে গেছিল। তার প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে খুনই করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, এবার হয়তো সিবিআই নড়েচড়ে বসবে।'' আসলে এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়েছিল, বিশেষ আদালতে আবেদন না জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবার কেন কলকাতা হাইকোর্টে এলেন? চার্জশিট দেওয়া শেষ। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ। তারপরও পুনরায় তদন্তের আবেদন করা হচ্ছে কেন? পুনরায় শুনানির প্রয়োজনীয়তা আছে? প্রশ্ন তোলা হয়। এই প্রেক্ষিতেই নির্যাতিতার বাবা রাজ্যের 'চরিত্র' নিয়ে মুখ খোলেন।
আজই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছেন, "এই মুহূর্তে এই মামলায় আপনারা কী করছেন? এটা গণধর্ষণ নাকি তথ্য প্রমাণ লোপাট? এই তদন্তে কোথাও গিয়ে কি আপনাদের মনে হয়েছে যে এটা গণধর্ষণের ঘটনা? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত নাকি আর কেউ আছে?" এদিকে নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুনরায় তদন্তের দাবি জানায়। আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনার আবেদনও করেন।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শামীম আহমেদের স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্য সরকার চাইছেই না তদন্ত হোক। সেই জন্যই আইনের কথা বলছে তারা। সামনে থেকে দেখানো হচ্ছে তারা তদন্ত চাইছে, কিন্তু আইনের কথা বলে বিরোধিতা করছে। বিষয়টি এতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।