শেষ আপডেট: 20th January 2025 20:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের কর্মস্থলে ধর্ষণ খুনের শিকার হয়েছেন ডাক্তারি ছাত্রী। ওই মামলায় সোমবার সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য। সোমবার রাতে টুইটে এখবর জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতের রায় দেখে আমি সত্যিই মর্মাহত যে এটি রেয়ারেস্ট অব রেয়ার মামলা নয়!"
প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে আদালত ফাঁসির সাজা শোনাবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। তা না হওয়ার কারণ হিসেবে এদিন রায় দিতে গিয়ে আদালতে বিচারক বলেন, 'এটি বিরলতম অপরাধ নয়'।
টুইটে এ প্রসঙ্গেই বড় প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "কীভাবে বলা যায় এটি একটি বিরলতম ঘটনা নয়?' টুইটে জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'আমি নিশ্চিত যে এটি সত্যিই একটি বিরলতম ঘটনা যা মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে। তাই আমরা এই সবচেয়ে জঘন্য ও সংবেদনশীল মামলায় মৃত্যুদণ্ডের ওপরে জোর দিচ্ছি'।
In the R.G. Kar junior doctor's rape and murder case, I am really shocked to see that the judgement of the Court today finds that it is not a Rarest of Rare case!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 20, 2025
I am convinced that it is indeed a rarest of rare case which demands capital punishment. How could the judgement…
সম্প্রতি ফারাক্কা, জয়নগর, গুড়াপের ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মামলায় রাজ্য আদালতে অপরাধীর ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করেছে। ওই প্রসঙ্গ টেনে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'ওই ঘটনাগুলোতে রাজ্য পুলিশ ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করতে পারলে এক্ষেত্রে হবে না কেন?'
পর্যবেক্ষকদের মতে, কৌশলে সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত যাতে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এগোয় সেজন্য তদারকি করছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'একজন অ্যারেস্ট হয়েছে। আমাদের সাত দিন সময় দিন। তার মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে না হয় সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হোক।'
যদিও চারদিনের মাথায় আদালতের নির্দেশে সিবিআইকে তদন্তভার হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিল কলকাতা পুলিশ। অবশেষে দোষীর ফাঁসির সাজা না হওয়ায় এদিন নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। রায় শোনার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, "আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন। ফাঁসির সাজা হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।" পরে ৮টা নাগাদ টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবে রাজ্য।