ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 4th March 2025 19:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে (RGKar Student Murder Case) শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়কে ফাঁসির সাজা দিলেও নির্যাতিতার পরিবার থেকে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন, তথ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের আরও অনেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এবিষয়ে মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। সিবিআইয়ের তরফেও নতুন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীর খুন ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে টালা থানা ও আরজি করের আউট পোস্টে কর্মরত এগারো জন পুলিশ কর্মীকে (Police) সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGo Complex) ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ডাক পড়ল সেই চিকিৎসকের, সেমিনার হলে যিনি নির্যাতিতার দেহ প্রথম দেখেছিলেন।
সূত্রের খবর, সেমিনার হলে নির্যাতিতার দেহ প্রথম দেখেছিলেন চিকিৎসক সুমিত রায়। এদিন তাঁকে ডেকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
৯ অগস্ট ২০২৪, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। এরপরই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমস্ত মহলের মানুষ। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে দিকে দিকে মিছিল, অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ, মানববন্ধনে সামিল হন সকলেই। কিন্তু সময় গড়ালেও মামলার সুরাহা এখনও হয়নি।
ঘটনার চারদিন পর আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ তার আগেই লোপাট হয়ে যায়। ঘটনার দিন সেমিনার হলে দেহ প্রথম দেখা চিকিৎসক কী দেখেছিলেন, এদিন তার বয়ান নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা।
একই সঙ্গে ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের আউট পোস্টে যে সমস্ত পুলিশকর্মী কর্তব্যরত ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার দিন কে কোথায় ডিউটি করছিলেন, ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা কতটুকু জানেন সবকিছুই জানতে চান তদন্তকারীরা। আগামীকাল মঙ্গলবারও কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে তলব করেছেন গোয়েন্দারা।