শেষ আপডেট: 15th August 2024 21:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে যেভাবে সারাদেশ এবং বিদেশের মানুষও রাস্তায় নেমেছেন, তাতে ভরসা পাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা।
টানা বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। লিখিতভাবেও নেওয়া হয় তাঁদের বয়ান। পরে এব্যাপারে নিহত ছাত্রীর বাবা-মা বলেন, "এত লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী, এমনকী বিদেশেও মানুষ যেভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তাঁদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সবাইকে আমার নিজের ছেলেমেয়ের মতো মনে করছি। ভরসাও পাচ্ছি এভাবে পাশে থাকার জন্য।"
নির্যাতিতার পরিবারকে ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। এ ব্য়াপারে তাঁরা বলেন, "আগে মেয়ের বিচার চাই। মেয়ের জীবনের বিনিময়ে টাকা নিলে মেয়েটা খুবই দু:খ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, বিচার পেলে তখন নিশ্চয়ই নবান্নে গিয়ে টাকা নিয়ে আসব।"
সূত্রের খবর, ঘটনার পরই ময়নাতদন্ত ছাড়া কীভাবে তাদের মেয়ের ঘাড়ে আত্মহত্যার দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে একাধিক অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রীর পরিবার। দোষীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। তবে 'তদন্তের স্বার্থে' এব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজি করের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয় ওই ডাক্তারি ছাত্রীকে। ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার মধ্যরাতে এনিয়ে রাজপথে প্রতিবাদেও নামে নাগরিক সমাজ। আরজি করে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনাও ঘটে। তবে এব্যাপারে এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা-মা। তাঁদের কথায়, "আমরা তো কলকাতায় থাকি না। না জেনে কীভাবে এ ব্যাপারে বলব।"
প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার বাবা-মা আগেই দাবি করেছিলেন সিবিআই তদন্তের। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশি তদন্ত ঠিকভাবে এগোচ্ছে না, তথ্য লোপাট হতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায় তাঁরা আপাত স্বস্তি পেয়েছেন। এখন দেখার বিচার পেতে কতদিন অপেক্ষা করতে হয় সন্তানহারা বাবা-মাকে।