শেষ আপডেট: 20th September 2024 07:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে কাজে ফিরছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৪১ দিন পর উঠতে চলেছে ধর্না অবস্থান। নবান্নর তরফে অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্না প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে আন্দোলরত পড়ুয়ারা জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টেয় স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে সিবিআই দফতর পর্যন্ত মিছিল করার পর ধর্না প্রত্যাহার করা হবে। সিজিওতে সিবিআই দফতরের সামনে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হবে। এরপর শনিবার থেকে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের কাজে যোগ দেবেন তাঁরা।
একই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানান, ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়াইও চলবে। শনিবার থেকে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার কাজে যোগ দেবেন তাঁরা।
টানা ৪১ দিনের আন্দোলনের ফলে রাজ্য কী কী দাবি মানতে বাধ্য হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে পড়ে শোনান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, "আমরা টানা রাস্তায় বসে থেকে লড়েছি বলেই এই দাবিগুলি পূরণ হল। এটা আমাদের আংশিক জয়। নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। আমরা চাই না, আর একটাও এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটুক।"
সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল। ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে কর্মবিরতি তোলার কথা থাকলেও তোলেননি ডাক্তাররা। বরং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন , সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি পূরণের দাবিতে বুধবার সকালে ফের নবান্নে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনে বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
সবমিলিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টার আলোচনা শেষেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বুধবার। নবান্ন থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে তাঁরা অভিযোগ করেন, বৈঠকে কিছু দাবি মানা হলেও কোনও 'মিনিটস' দেওয়া হয়নি। তাই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরার প্রশ্ন নেই।
এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নর তরফে মুখ্যসচিব রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় দশ দফা পয়েন্ট উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ পাঠান। সেখানে নিরাপত্তা, সুরক্ষা-সহ আন্দোলনকারীদের সব দাবি কার্যত দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন আন্দোলরত চিকিৎসকরা।