শেষ আপডেট: 2nd October 2024 09:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেছে। মহালয়ার দিন ভোর থেকে একেবারে চেনা ছবি ধরা পড়ছে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাট সহ নানা জায়গায়। কিন্তু এর পাশাপাশি নতুন কিছুও চোখে পড়ছে। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সাধারণ মানুষ মহালয়ার দিনও সরব হয়েছেন। দিকে দিকে হয়েছে 'ভোর দখল' কর্মসূচি। অনেকে আবার নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁর উদ্দেশে বিশেষ তর্পণও করেছেন।
দুর্গাপুজো শুরু হতে আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। কিন্তু কোথাও যেন এবার সেই উৎসব আমেজে খামতি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। মহালয়ার দিন সকাল থেকেও অন্য ছবি ধরা পড়েছে শহর থেকে জেলা সর্বত্র। ভোর বেলা রাস্তা দখল কর্মসূচি পালন করেছে নাগরিক সমাজ। কলকাতার রুবি থেকে বেহালা, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার... সব জায়গায় এমন চিত্র দেখা গেছে। পথে প্রতিবাদী আঁকা থেকে শুরু করে অবস্থান, সবই হয়েছে।
শহর ছাড়িয়ে মহালয়ার দিন প্রতিবাদ পৌঁছে গেছে জেলাতেও। বিভিন্ন জায়গায় পথনাটিকা হয়েছে। ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে পোস্টার হাতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন মানুষ। আবার নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনায় কেউ কেউ গণতর্পণে সামিল হয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে দক্ষিণবঙ্গ, রাজ্যজুড়ে এই প্রতিবাদের চিহ্ন দেখা গেছে মহালয়ার ভোর থেকে।
এদিকে আবার দেবীপক্ষের সূচনার আগের রাতে অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতাতেই আরজি কর প্রতিবাদ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে এখন তোলপাড়। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। প্রতিবাদীদের দাবি, তাঁর নির্দেশেই মিছিলের ওপর হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। মারধর করা থেকে শুরু করে ফোন ভেঙে দেওয়াও হয়েছে। টালিগঞ্জের করুণাময়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার শহর জুড়ে বিরাট মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত সে মিছিল তো হয়েছেই, পাশাপাশি আরও একাধিক জায়গায় রাত পর্যন্ত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এমনই একটি কর্মসূচি হয়েছিল টালিগঞ্জের করুণাময়ীতে। নাগরিক সমাজের সেই মিছিলেই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি।