শেষ আপডেট: 20th September 2024 23:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভরা সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে ঢুকে পড়লেন এক ভুক্তভোগী! আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে বললেন, "আপনাদের ন্যায় বিচারের দাবিকে আমিও সমর্থন করি। কিন্ত আমার একটা জেনারেল কমপ্লেন আছে। সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার বিনিময়ে টাকা চাওয়া কেন হয়?"
মুহূর্তের জন্য থমকে গেল সাংবাদিক বৈঠক। পিন পড়ার নিস্তব্ধতা। পর মুহূর্তেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে সহমত জানালেন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র চিকিৎসকরা। বললেন, "এটা খুবই ন্যায্য প্রশ্ন। চিকিৎসক হিসেবে এই ইস্যুগুলো আমাদেরও ফেস করতে হয়। মুুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সেফটি-সুরক্ষার প্রশ্নে আমরাও বলেছি, হাসপাতালের এই দালাল রাজ বন্ধ করতে হবে।"
টানা ৪২ দিনের আন্দোলনের পর এদিন সিবিআই দফতরে বিচারের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখান থেকে ফিরে আরজি করে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন। আগামীকাল শনিবার থেকে কাজে ফেরার কথা বলছিলেন।
ঠিক তখনই সাংবাদিকদের ভিড়ের মধ্যে থেকে ওই ভুক্তভোগী সরকারি হাসপাতালে টাকা চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তাঁর পেশেন্টকে আরজি করে ট্রান্সফর করা হয়েছে। তাঁর কথায়, "আরজি করের নাম শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা হবে তো! কিন্তু উপায় ছিল না, আইসিইউ-র জন্য ডাক্তার ট্রান্সফার করে। মিথ্যে বলব না, আরজি করে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছি।"
এরপরই তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার রাতে ডেলিভারি হয়েছে। কিন্তু এখনও বাচ্চাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের মাসীরা বলছে, 'আগে টাকা দিতে হবে।' আপনারাই বলুন, ওরা তো ডিউটি করছে, আলাদা করে টাকা দেব কেন? শুধু আরজি কর নয়, বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে এরকম জুলুমবাজি হয়। এটা নিয়ে প্রতিবাদ হওয়া দরকার।"
সহমত জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "বেড নিয়ে বা অ্যাডমিশন নিয়ে দালালি বন্ধ করা জরুরি। এ ব্যাপারে আমরা মুখ্যসচিবকেও বৈঠকে বলেছি, বেড ভ্যাকান্সি পদ্ধতি চালু করতে হবে। যাতে রিয়েল টাইম তথ্য থাকে। কোথায় কত বেড খালি রযেছে। তাহলে কেউ দালালি করতে পারবে না।"
একই সঙ্গে তাঁরা বলেন, "কেউ এরকম করে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, পুলিশের আউট পোস্টেও অভিযোগ জানান। আমরাও চাই যে করেছে সে শাস্তি পাক।"