শেষ আপডেট: 1st October 2024 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'অতি দ্রুততার সঙ্গে আমাদের সমস্যার সমাধান করা হোক। আমরাও চাই কাজে ফিরে মানুষকে পরিষেবা দিতে।'-- কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তের গতিপ্রকৃতিই প্রশ্নের মুখে। এমনই দাবি করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তারদের।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য ও কেন্দ্রের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, 'আমাদের শুধুই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র কিছু কাজ হলেও, নির্যাতিতার বিচারের কোনও দিশা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।'
ময়নাতদন্তের বিষয়ে ডাক্তারদের অবস্থান স্পষ্ট করে এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ডাক্তার পড়ুয়া কিঞ্জল নন্দের অভিযোগ, 'ময়নাতদন্তের বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।' ময়নাতদন্তের নথিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সই ছিল, একথা স্বীকার করে কিঞ্জল বলেন, ময়নাতদন্তে অসহযোগিতার দায় কোনওভাবেই জুনিয়র ডাক্তারদের নয়।
কিঞ্জলের পাল্টা অভিযোগ, 'নির্যাতিতা ডাক্তার পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওখানে জুনিয়র ডাক্তারদের সই থাকলেও ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় তাঁদের ঘাড়ে চাপিয়ে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছিলাম এই নারকীয় ঘটনাকে যাতে কোনওভাবেই অন্যদিকে চালিয়ে দেওয়া না হয় এবং নির্যাতিতার প্রতি সুবিচারের দাবিতে আমরা প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলাম।'
কিঞ্জল আরও জানান, 'আমাদের মঞ্চকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। যারা এমন কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা ধিক্কার জানাই।'
আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ডাক্তার পড়ুয়া অনিকেত মাহাতোর কথায়, ‘দ্রুত সুবিচারের আশ্বাস মেলার পরই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে কোনওরকম সদিচ্ছা না দেখতে পেয়েই আমাদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত।’
অনিকেতের আরও অভিযোগ, 'সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া ৩৯ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রকৃত দোষী কারা, এই ঘটনার আসল সত্যি যদি সামনে না আসে তাহলে সুরক্ষা কোথা থেকে আসছে? আমরা রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখলেও কোনও লাভ হয়নি।'
সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই জানিয়েছে, রাজ্যের উচিত ডাক্তারদের দাবি মতো তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারপরও রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর হামলা চলছে। এর দায় কে নেবে বলেও প্রশ্ন তোলেন ডাক্তার পড়ুয়া অনিকেত।