শেষ আপডেট: 12th September 2024 14:17
অটলবিহারী বাজপেয়ী বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, এ হল রাবড়ি প্রক্রিয়া। নিচের দিকে গরম দাও, উপর থেকে হাওয়া করো।
জুনিয়র ডাক্তারদের ভাই-বোন সম্মোধন করছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ তথা নবান্ন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের চাপের মুখে ফেলে দেওয়ার জন্য অ্যাটেডন্সের খাতা গুছিয়ে রাখাও শুরু করে দিল। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বড় পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্যভবন। গেটের বাইরে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা একটানা অবস্থান করে পরিবেশ উত্তপ্ত করে রেখেছেন, তখন এদিন সকালে ঠাণ্ডা মাথায় সবকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিঠি পাঠালেন ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন। সেই চিঠিতে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হল, এখনও পর্যন্ত যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের নাম ধাম সবিস্তার তালিকা দুপুর ২টোর মধ্যে পাঠাও।
বুধবার সন্ধেয় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বারবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। যে নির্দেশে পরিষ্কার বলা ছিল, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাতে এও লেখা ছিল, “যাদের পরিষেবা দেওয়া রেসিডেন্ট ডাক্তারদের কাজ তা থেকে তাঁরা বিস্মৃত হয়ে থাকতে পারেন না, তাই উপরে উদ্ধৃত সময়ের মধ্যে তাঁদের কাজে ফেরা উচিত”।
সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সম্ভবত সেই কারণেই সব কাগজপত্র রেডি করে রাখছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলেন কিনা সেই প্রশ্ন সেদিন অবধারিত ভাবেই উঠবে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল নিজেও তা তুলতে পারেন। রাজ্য সরকার চাইছে, জুনিয়র ডাক্তারদের যা নির্দেশ দেওয়ার তা সুপ্রিম কোর্টই দিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার নিজে থেকে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না বল আদালতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। যাতে এর পর কঠোর পদক্ষেপ করলে বলা যেতে পারে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ পালনের জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। গোটা এই প্রক্রিয়াকে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসাবে দেখা যেতে পারে।