শেষ আপডেট: 17th October 2024 17:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাতে মাত্র ২৫ দিন। তারপরই রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। এদিকে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলন চলছে। ভোটে তার প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এমন পরিস্থিতিতে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে রথ দেখা, কলা বেচা দুইই সারতে চাইছে তৃণমূল। মঙ্গলের পাশাপাশি বুধবারও বহু বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়েছে। এ সব মিটে যাওয়ার পর শুক্রবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল।
সেই মঞ্চ থেকেই আরজি কর-সহ একাধিক ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য মানুষের কাছে তুলে ধরবেন তৃণমূল নেতারা। বক্তব্যে মূলত কোন কোন বিষয়ে জোর দেওয়া হবে?
দলের একাংশ মনে করছেন, আরজি কর ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন এবং বিরোধীদের একাধিক মন্তব্যের জেরে একাংশ মানুষের মধ্যে রাজ্যের সরকার এবং তৃণমূল সম্পর্কে নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং তা সত্ত্বেও রাজ্যের নিবিড় উন্নয়নের প্রচারও বক্তব্যে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "আরজি কর কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। ৫৮ দিন পরে সিবিআই তো কলকাতা পুলিশের সেই সিদ্ধান্তকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে এরপরও যদি কেউ বলে কলকাতা পুলিশের তদন্ত মানি না, সিবিআই মানি না, তাহলে তাঁরা কী চান?"
জবাবও দিয়েছেন কুণাল নিজেই। তিনি বলেন, "আসলে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে এর জবাব দেব।"
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভায় উপ নির্বাচন হবে। এগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা, কোচবিহারের সিতাই এবং আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট। শাসকদলের অবশ্য দাবি, ৬টির একটি আসনেও বিরোধীরা জিততে পারবেন না। কারণ, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক পোস্টে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, এই ভোটে আরজি কর ইস্যুর কোনও প্রভাব পড়বে না। বরং তৃণমূল হবে 'ক্লিন উইনার'।