শেষ আপডেট: 21st September 2024 07:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৮ অগস্টের পর ২১ সেপ্টেম্বর। ৪৩ দিন পর আজ শনিবার থেকে ফের কাজে ফিরছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বললেন, "যেভাবে এতগুলো দিন মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন তার জন্য সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। শনিবার থেকে আমরা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে জরুরি পরিষেবা দেব। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও আমরা বাড়তি এফোর্ট দিয়ে কাজ করব। কিন্তু পরিকাঠামোগত যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো পূরণে তো আমরা অসহায়।"
যেমন? আন্দোলনকারীরা বলেন, 'প্রতিটি বিল্ডিংয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডারের পোর্ট থাকে। কোথাও ১০টি থাকলে এবং তার সবকটি যদি ব্যবহৃত হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ১১ নম্বর রোগীর অক্সিজেন পোর্ট দরকার হলে আমরা কীভাবে সাহায্য করব? এবিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাব, তাঁরা যদি অন্যত্র ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমরা সেখানে গিয়েও চিকিৎসা দিতে রাজি আছি। তবে পরিকাঠামোর বিষয়টা আমাদের হাতে নেই।'
প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন , সুরক্ষা-নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি মেনে স্বাস্থ্য ভবনকে এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। প্রশাসনের একাংশের মতে, সরকারকে চাপে রাখতেই কৌশলী এই মন্তব্য করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি ও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে ফের কর্মবিরতিতে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, "আমাদের চোখ থাকবে ২৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। তার মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কিন্তু আবারও ধর্না অবস্থানে ফিরতে পারি। তখন কিন্তু আরও তীব্রতর প্রতিবাদ নিয়ে আমরা রাজপথে ফিরব।"
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কর্মস্থলে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে সেদিন থেকেই ধর্না অবস্থানে বসেছিলে্ন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। ধর্নাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে কর্মবিরতি তোলার কথা থাকলেও তোলেননি ডাক্তাররা।
বরং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন , সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি পূরণের দাবিতে বুধবার সকালে ফের নবান্নে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনে বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। হাসপাতালের সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্দেশে একটি বিশেষ নির্দেশিকাও জাারি করা হয়। যাতে আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগ দাবি পূরণের কথা বলা হয়। এরপরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।