শেষ আপডেট: 12th August 2024 10:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে নিজের দোষ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কিন্তু এত বড় নৃশংস ঘটনা ঘটানোর পরও সে নিরুত্তাপ। পুলিশ সূত্রের খবর, তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা বোধ নেই। বরং, তরুণীকে কেন সে খুন করেছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে সে! যদিও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, না খুনের পর ধর্ষণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে তরুণী চিৎকার করে সবাইকে ডেকে দিত, তাই তাঁকে খুন করেছে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। সঞ্জয়ের ভাবভঙ্গি দেখে বোঝার উপায় নেই যে সে এত বড় জঘন্য কাজ করেছে। তাই পুলিশের অনুমান, খুব ঠান্ডা মাথাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয়। তাই সে এখনও নির্বিকার। এমনকী ইতিমধ্যেই সে পুলিশকে বলেছে, 'আমাকে ফাঁসি দিলে দিন'!
ইতিমধ্যে এও জানা গেছে, ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল সঞ্জয়। গভীর রাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে ওই তরুণীর ওপর ভয়ানক অত্যাচার করে সে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তরুণী যে সেমিনার হলে শুয়েছিলেন সেখানে রাত ৩টের কিছু পরে ঢোকে সঞ্জয়। এরপর অন্তত ৪৫ মিনিট পর তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ঢোকার সময়ে তার কানে হেডফোন ছিল, কিন্তু বেরিয়ে আসার সময়ে ছিল না। পরে পুলিশ ওই হেডফোনের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তাঁদের এও দাবি, আরজি করে মেয়ের ওপর ভীষণ চাপ ছিল। ঠিক কী অভিযোগ? নির্যাতিতার মা বলছেন, ''মেয়ে বলত, আমার আরজি করে যেতে ভাল লাগে না। কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।'' তবে বাবা যে অভিযোগ করেছেন তা আরও বিস্ফোরক। তাঁর দাবি, সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে সহযোগিতা পেত না তাঁর মেয়ে। এমনকী পাঁচজনের ডিউটিতে চারজন ছেলের মধ্যে একা ওকে রাখা হত, সেটাতে অসুবিধা হত। তিনি এও দাবি করেছেন যে, তাঁর মেয়েকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হতে পারে!
সোমবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজিকর পর্যন্ত মিছিল করার কথা আরজিকর-সহ কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের। তাতে সামিল হবেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা-বাবাও। এদিন সকাল থেকে আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল-সহ শহর এবং জেলার একাধিক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কাজেও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে রোগীদের এবং রোগীর পরিবারের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।