শেষ আপডেট: 4th September 2024 12:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আন্দোলিত সমাজ। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করেছিল সুপ্রিমকোর্ট। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
এহেন প্রেক্ষাপটে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি এদিন স্থগিত করে দিল। আদালত সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতে যেহেতু ২৪ ঘণ্টা পরেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে, তাই এখনই এবিষয়ে নতুন করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অমৃতা পান্ডে। এরপরই প্রধান বিচারপতি আদালতে জানান, সুপ্রিমকোর্টে যেহেতু আরজি কর মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে এমত অবস্থায় এ বিষয়ে তিনি কোনও অনুমতি দিতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরই আদালত এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। পরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিমকোর্ট। ওই মামলাতেই আগামীকাল আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করতে চলেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি ছাত্রী খুনের অভিযোগে ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আরজি করের দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার রাতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বভাবতই, ডাক্তারি ছাত্রী খুনে সিবিআই আদালতে কী রিপোর্ট পেশ করে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল রয়েছে।
এরই মাঝে এদিন এক ভিডিও বার্তায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সিবিআইয়ের প্রতি চারটি প্রশ্ন রেখেছেন। কুণালের কথায়, "আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনে সঞ্জয় রায় একাই ছিল নাকি আরও কেউ যুক্ত ছিল? এটা কি স্রেফ একটি নারকীয় ঘটনা নাকি কোনও চক্র অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে? তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সিবিআই আনলে তাঁদের এদের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। এবং এব্যাপারে যদি সিবিআই নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে তাহলে তাঁদের এও বলতে হবে, তাঁরা এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিতে চলেছে তারও ব্যাখ্যা দিতে হবে।"
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের বিচার চেয়ে ৯ অগস্ট থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁর সহপাঠীরা। নাগরিক সমাজের তরফেও শহর জুড়ে প্রতিদিনই প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হচ্ছে। সকলেই চাইচেন দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে কঠোর সাজার ব্যবস্থা করুক আদালত। এখন দেখান, সিবিআই আগামীকাল এ ব্যাপারে আদালতে কী রিপোর্ট জমা করে।