শেষ আপডেট: 1st September 2024 23:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পানিহাটি শ্মশানে সৎকার করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতার দেহ। পানিহাটি শ্মশানে সৎকারের সেই সার্টিফিকেট কয়েকদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল। তাতে মৃত্যুর সময় লেখা ছিল ১২টা ৪৪ মিনিট। যা নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়।
সূত্রের দাবি, হাসপাতালের তরফে ১০টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও সেদিন শ্মশান ম্যানেজার জোর গলায় বলেছিলেন, "আমরা তো আর কারও কথার ভিত্তিতে লিখতে পারব না। ডেথ সার্টিফিকেট দেখেই ওই সময় (১২টা ৪৪মিনিট) লেখা হয়েছে।" তিনি এও বলেন, "আমি কি ডাক্তারের ওপরে যাব নাকি?"
রবিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘটনার দিন আরজি করের জরুরি বিভাগের যিনি চিকিৎসক ছিলেন সেই তাপস প্রামাণিক জানিয়েছেন, ১০টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হলেও টালা থানার পুলিশ আসার পর হাসপাতালের তরফে টিকিটে লেখা হয়েছিল ১২টা ৪৪।
ওই প্রসঙ্গ টেনে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাপস প্রামাণিকের প্রশ্ন, "মৃত ঘোষণা করতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরি করা হল কেন?"
একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই চিকিৎসক এও বলেন, "মৃত ঘোষণা করার পর সঙ্গে সঙ্গে যে প্রসেস করা উচিত ছিল, তা হয়নি। ফলে আগামীদিনে আদালত এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ আদৌ কোনও সদুত্তর দিতে পারবে বলে মনে হয় না।" স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ওই সময় নির্দিষ্ট কাজ না করে কী কাজে ব্যস্ত ছিল কর্তৃপক্ষ?
প্রসঙ্গত, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে তথ্য লোপাট ও অভিযুক্তদের একাংশকে আড়াল করার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতার মা, বাবা থেকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসছে একাধিক অসঙ্গতিও। বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে এসেছিল অডিও কল। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার দেহের চাদরের বদল নিয়েও বড় অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত ছাত্রীর বাবা-মা। পানিহাটি শ্মশানের সার্টিফিকেটে লেখা মৃত্যুর সময় নিয়েও শোরগোল হয়েছিল।
এদিন এ ব্যাপারে আরজি করের চিকিৎসক তাপস প্রামাণিকের বয়ানের পর নির্যাতিতার মৃত্যুর সময় নিয়েও ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী কারণে এত অসঙ্গতি, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।