শেষ আপডেট: 1st September 2024 08:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এবার ঘটনার দিন সিজারলিস্ট তৈরি নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর মা।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা বলেন, "ওই লাল টি-শার্ট পরা সন্দেহজনক ছেলেটি কে? সেদিন যখন সিজার লিস্ট তৈরি হচ্ছিল, তখন লাল টি-শার্ট পরা একটি ছেলেকে আমি বারে বারে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখেছি। ও কিছু একটা খুঁজছিল। সন্দেহজনক অবস্থায় দেখেছিলাম। পরে জানতে পারি, ওই ছেলেটি নাকি হাসপাতালের গ্রুপ ডির স্টাফ।"
নির্যাতিতার মায়ের কথায়, "হাসপাতালের মধ্য অন ডিউটিতে থাকা একজন চিকিৎসককে খুন করা হল। অথচ সেখানে প্রমাণ রক্ষার বদলে তা লোপাটের নানা অভিযোগ সামনে আসছে। সুপ্রিম কোর্টও তো ক্রাইম সিন সুরক্ষিত না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।"
অগস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় অতিক্রান্ত তিন তিনটি সপ্তাহ। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নির্যাতিতার পরিবার থেকে আন্দোলনকারীরা। সন্তান হারা মায়ের মনে সংশয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে, সুবিচার মিলবে তো! তাঁর কথায়, "এক একটা করে দিন চলে যাচ্ছে। জানি না, এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে দেহ সৎকার, ক্রাইম সিনে প্রচুর মানুষের ভিড়, বাড়ির লোককে ফোনে প্রথমে অসুস্থ, পরে গুরুত্র অসুস্থ এবং শেষে আত্মহত্যার কথা বলা, চাদর বিতর্ক-সহ একাধিক কারণে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে কর্তৃপক্ষ। এমনকী পুলিশকে ২৫ মিনিট পরে খবর দেওয়া নিয়েও তদন্তকারীদের স্ক্যানারে কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে ক্রাইম সিনের ভিড়ের ভিডিও (এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি 'দ্য ওয়াল') ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোম। এই দেবাশিস সোম এখন সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে। এছাড়াও শান্তনু দে নামের এক আইনজীবী সেখানে উপস্থিত। তিনি সন্দীপ ঘোষের নিজস্ব আইনজীবী তথা ছায়াসঙ্গী বলে জানা গেছে। সন্দীপ ঘোষের আর এক ছায়াসঙ্গী প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা গেছে ওই ভিডিওর ভিড়ে।
এবার সিজার লিস্ট তৈরির সময়ও সন্দেহজনক উপস্থিতির অভিযোগ আনলেন নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর মা।