ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 20th September 2024 20:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থা্নার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও পাঁচদিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
একই সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়েও এদিন বিচারক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত সূত্রের খবর, যে অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ ও অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সপক্ষে সিবিআই কী তথ্য জোগাড় করেছে তাও জানতে চান বিচারক। সিবিআই এব্যাাপারে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিতে না পারায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক।
এদিন ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে সিবিআইয়ের কাছে বিচারক জানতে চান, ঘটনার দিন ধৃত দু'জনের গতিবিধির বিষয়ে তদন্তকারীরা কী জানতে পেরেছেন? ধৃতরা কোনও 'অ্যালিবাই' দিচ্ছেন কিনা?
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজে তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে দেখা যায়নি। ওই সময় তিনি কোথায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র মারফৎ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেদিন ঘটনার পরই আরজি করের সেমিনার হলে পৌঁছেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিন আদালতে বিচারক এও জানতে চান, ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সহযোগিতা নাকি ঘটনার পর সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্তরা? সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের একাধিক তথ্য রয়েছে। বাকি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালিসিস ও অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্যও এদিন আদালতের অনুমতি চায় সিবিআই। বিচারক জানিয়েছে, ২৩ তারিখ অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করাতে হবে। তারা অনুমতি দিলে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের তরফে পরিবারকে যেভাবে অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ এবং সবশেষে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন সন্দীপ। এমনকী মা-বাবা আসার পরেও দেহ দেখতে না দিয়ে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা, তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত, দেহ সৎকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকাও।
কেন্দ্রীয় সংস্থা বলছে, ৯ অগস্ট মহিলা ডাক্তারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও অভিজিৎ মণ্ডল দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও ক্রাইম সিন সুরক্ষিত করেননি। অনেক পরে এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থলের প্রাথমিক ভিডিও করা হয়নি। নির্যাতিতার পরিবার ফের ময়নাতদন্তের দাবি করেছিল। তা না মেনেই দ্রুত দেহ দাহ করা হয়েছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত সপ্তাহে অভিজিৎ ও সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই।