শেষ আপডেট: 11th November 2024 09:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের ৮৭ দিন পর সোমবার থেকে আদালতে শুরু হতে চলেছে এই মামলার শুনানি।
সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে শিয়ালদহ আদালতে চলছে আরজি কর মামলা। ধর্ষণ-খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে বারে বারে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের তরফে। যদিও সিবিআইয়ের চার্জশিটে বা শুরুর দিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তে তেমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি।
এরই মধ্যে গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠনের দিনে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে বড় অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়। স্বভাবতই, আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়া শুনানিতে সঞ্জয়ের প্রসঙ্গটিও উঠে আসে কিনা, সঞ্জয় এব্যাপারে নতুন কিছু বলেন কিনা, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে সব মহলে।
গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করের চারতলার সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তমাখা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কর্মস্থলে এভাবে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে সেদিন থেকেই গর্জে উঠেছিল সমাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়েছিল। ঘটনার ৪দিন পর তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই।
খুন-ধর্ষণের পশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট, দুর্নীতির তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খুন ধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার আইসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় কোনও গ্রেফতার নেই। এই ইস্যুতে সম্প্রতি সিজিওতে গিয়েও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদদের একাংশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রেখেছিলেন তাঁরা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে শুরু হওয়া শুনানিতে কী কী প্রসঙ্গ উঠে আসে সেদিকে নজর রয়েছে সব মহলের।