শেষ আপডেট: 19th December 2024 14:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিআই তদন্তে অনাস্থা জানিয়ে নতুন করে মেয়ের খুনের তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা। ইতিমধ্যে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে আদালত।
সেই সূত্রে আরজি কর মামলার তদন্ত নিয়ে এদিন সিবিআইকে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত কীভাবে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সিবিআইকে তদন্তের যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। তবে কোনওভাবেই ট্রায়াল বন্ধ করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করেন, তার মেয়ের নৃশংস খুনের ঘটনায় তদন্তের বহু দিক রয়েছে। কিন্তু সবদিকে তদন্তকারীরা নজর দিচ্ছেন না। সে কারণেই নতুন তদন্তের দাবিতেই মামলা দায়ের করতে চাইছেন।
সওয়াল পর্বে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিমকোর্ট এই তদন্তে নজরদারি করছে। তবে পরিবারের যদি সেই তদন্ত নিয়ে কোনও আপত্তি থাকে সে ব্যাপারে হাইকোর্ট নজরদারি করবে, তাতে কোনও বাধা নেই। অর্থাৎ নির্যাতিতার পরিবারের মামলাটি গ্রহণ করেন বিচারপতি।
একই সঙ্গে বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, আরজি কর মামলার তদন্ত কীভাবে এগোচ্ছে তা নিয়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। একই সঙ্গে ১৫দিন পর পর তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট নেওয়া যায় কিনা, এ ব্যাপারেও ওই দিনের শুনানিতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে তদন্তে অগ্রগতির ব্যাপারে ৮টি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আদালতকে।
আরজি করের ডাক্তারি ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণ মামলায় গত শুক্রবারই জামিন পেয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে জামিন পেয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন আইসি অভিজিৎ মণ্ডলও। ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তাই জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আদালত। এই খবরেই কার্যত হতাশায় ডুবে গেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তারপর থেকেই চিকিৎসক সংগঠন থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ ফের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার।