শেষ আপডেট: 26th November 2024 13:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিম্ন আদালতের পর এবার উচ্চ আদালত। সাত দিনের ব্য়বধানে ফের আদালতে জামিনের আর্জি জানালেন আরজি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
শিয়ালদহ আদালতে চলছে আরজি কর মামলার শুনানি। গত ১৮ নভেম্বর অভিজিতের হয়ে আদালতে জামিনের সওয়ালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বয়ানকেই হাতিয়ার করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে শেষ পর্যন্ত তা নাকচ হয়ে যাওয়ায় এদিন ওই একই যুক্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ধৃত প্রাক্তন ওসির আইনজীবী।
গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের শিকার হন ডাক্তারি ছাত্রী। ওই ঘটয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণের পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীর খুন-ধর্ষণের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা আছে। এব্যাপারে তদন্তে নেমে বাজেয়াপ্ত করা পাঁচটি হার্ড ডিস্ক ফের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে আগের দিন এও জানানো হয়েছিল যে , সঞ্জয় ছাড়া নির্দিষ্টভাবে আর কারও নামে এখনও বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি।
এদিন ওই প্রসঙ্গ টেনেই কলকাতা হাইকোর্টে টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী আদালতে বলেন, "আমরাও জাস্টিস পেতেই আদালতে এসেছি। এটা মোঘল রাজ নয়। বাদশা বললেই হবে না কে কে জেলে থাকবে। এটা কোর্ট।"
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ সেকশনে অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন আদালতে অভিজিতের আইনজীবী আরও বলেন, "গ্রেফতারের পর প্রথম দিনের আবেদন পত্রে সিবিআই জানিয়েছিল খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়নি। তথ্য নষ্টের সম্ভাবনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর ৭৩ দিন অতিক্রান্ত। এখনও কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি অভিজিতের নামে। নতুন কোনও সেকশনও যুক্ত করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। তাহলে কেন এভাবে আটকে রাখা হবে? কেন জামিন মিলবে না?"
আপাতত চলছে সওয়াল-জবাব। সিবিআইয়ের অস্ত্রে শান দিয়ে আইনজীবী প্রাক্তন ওসির জামিনের আবেদন আদালত থেকে মঞ্জুর করাতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।