শেষ আপডেট: 2nd December 2024 22:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগেই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাজ্যের ২৪টি মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতিতে নতুন করে সরকারি জনপ্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আর এদিনই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে আরজি করে কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক অভীক দে'র উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, অভীক তো আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত। মাঝে তাঁকে কাউন্সিলের বৈঠক থেকে বিরতও থাকতে বলা হয়েছিল। তা হলে কীভাবে তিনি এদিন বৈঠকে যোগ দিলেন?
এ ব্যাপারে এদিন এক ভিডিও বার্তায় মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম কর্মকর্তা তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা, বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বৈঠকে অভীকের উপস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে সরাসরি আরজি কর প্রসঙ্গের উল্লেখ করেননি তিনি।
সুদীপ্ত বলেন, "কয়েকটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভীককে মেডিক্যাল কাউন্সিলের মিটিংয়ে আসতে বারণ করা হয়েছিল।
তবে সে জানায়, যে চার্জশিটে তার নাম নেই। তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। যে কারণে অভীক দে"কে আমরা মিটিংয়ে অংশ নিতে বলি।"
বস্তুত, আরজি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই সেই সূত্র ধরে অভীক দে-র পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নামও সামনে এসেছিল। বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য নন। তিনি পেনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। সুদীপ্তবাবু বলেন, আগে ৬জনের পেনাল কমিটির ছিল। আমরা সেটাকে ছোট করে ৩ জনের করে দিয়েছি।
তবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে অভীকের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কারণ, আরজি কর মামলা এখনও বিচারাধিন। তারই মধ্যে এভাবে অভীকের বয়ানের ভিত্তি করে মেডিক্যাল কাউন্সিল কীভাবে তাঁকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্মতি দিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অভীকের সপক্ষে এদিন যিনি সওয়াল করেছেন, সেই সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধেও আরজি করের দুর্নীতিতে নাম জড়়িয়েছিল। অতীতে তাঁকে ডেকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী তাঁর নার্সিংহোম, সহ বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।