শেষ আপডেট: 18th September 2024 12:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ফের একাধিক প্রশ্ন সামনে আনলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, গণধর্ষণ নয়। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্ট নির্যাতিতার শরীরে একাধিক অত্যাচারের উল্লেখ করা হয়েছে। এবার এই নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক প্রশ্ন সামনে আনলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল নেতা লিখেছেন, 'সঞ্জয় একাই না একাধিক? সিবিআই কোর্টে বলেছে গণধর্ষণ নয়। অথচ যে শারীরিক অত্যাচার, তাতে একাধিক শক্তির প্রয়োগের অনুমান। সেক্ষেত্রে-১) ধর্ষণ করে খুন? ২) নাকি, খুন করে ধর্ষণ? ৩) নাকি, একাধিক ব্যক্তির আক্রমণে মারামারিতে মৃত্যু? তারপর নজর ঘোরাতে সঞ্জয়ের মত কোনো নরপশুর প্রবেশ ও কুকর্ম? সঞ্জয়কে খবর দিয়ে আনা?'
নিজের তোলা প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন কুণাল। দাবি করেছেন, 'তৃতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।' এরপরই কুণালের প্রশ্ন, 'সেক্ষেত্রে, বাকিরা কারা? তারা এখন কোথায়? তর্ক, মারামারির কারণ কী?'
আন্দোলনকারীরা এবং নির্যাতিতার পরিবার আগেই অভিযোগ করেছিল, সঞ্জয় ছাড়াও নৃশংস ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাদেরকে আড়াল করতেই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কুণালও বোঝাতে চেয়েছেন, অন্য কোনও কারণে খুনের পর নজর ঘোরাতে ধর্ষণ করে সঞ্জয়কে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
এর আগে নির্যাতিতার মা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর মেয়ে দুর্নীতির কথা জেনে গিয়েছিল বলেই হয়তো এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। বিরোধীদের অনেকেও এই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার শাসক দলের নেতার ফেসবুক পোস্টেও উঠে এল সেই একই প্রসঙ্গ। কুণালের মতে, ' তদন্তে সবটা আসুক। ন্যায়বিচার হোক। কোনো জল্পনা নয়, নির্দিষ্টভাবে সমাধান জানাক সিবিআই।'
প্রসঙ্গত আরজিকরে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ খুনের অভিযোগে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এছাড়া ধর্ষণ খুনের অভিযোগে দ্বিতীয় কোনও গ্রেফতার এখনও অব্দি হয়নি। টালা থানার ওসি এবং আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষণ খুনের তথ্য লোপাটের অভিযোগে।