শেষ আপডেট: 24th August 2024 08:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার পেতে প্রয়োজনে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দেবেন! শুক্রবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন আরজি করে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের শিকার হওয়া নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা।
৮ অগস্ট মধ্যরাত থেকে ২৩ অগস্ট। মাঝে ১৫ দিন অতিক্রান্ত। আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তভার গ্রহণের পরও তদন্ত বিশেষ এগোয়নি বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। একই মত পরিবারেরও। তাঁদের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার মা-বাবা বলছেন, "যে স্বপ্ন পূরণের জন্য মেয়েটা আরজি করে গিয়েছিল, সেখানেই ওকে শেষ করে দেওয়া হল। অনেক প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। আমরা চাই, মেয়ের সুবিচারের জন্য সিবিআই আরও তৎপর হোক।"
মেয়ের দেহ দেখতে না দিয়ে কেন চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল? কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল? কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন, অথচ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম সিন সুরক্ষিত করল না কেন? কাকে আড়াল করা হচ্ছে? সেই প্রভাবশালী কে? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, গণধর্ষণ হয়ে থাকতে পারে, অথচ সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকে কেন ধরা যাচ্ছে না? এমনই হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মনে।
বলছেন, "সত্যি মিথ্যা জানি না। তবে কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা যে হয়েছে, সেটা তো সারা দেশ বুঝতে পারছে। শীর্ষ আদালতও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।"
ইতিমধ্যে দু'সপ্তাহ অতিক্রান্ত। আশঙ্কা করছেন, 'আর পাঁচটা কেসের মতো এক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্রিতা হবে না তো?' নির্যাতিতার মায়ের কথায়, "আর পাঁচটা কেসের সঙ্গে এই কেসটা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু বুঝতে হবে এটা শুধু রেপ-মার্ডার নয়, নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কর্মস্থলেই।"
চোখের জল মুছতে মুছতে বলছিলেন, "সিবিআইয়ে এখনও আস্থা রয়েছে। তবু মাঝে মধ্যে ধৈর্য্য হারা হয়ে যাচ্ছি! কোলের সন্তানটা আর নেই, তদন্তকারীদের বলব, একটু দ্রুত তদন্ত করুন, অপরাধীরা না ছাড়া পেয়ে যায়!"