শেষ আপডেট: 18th September 2024 20:55
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত তথা সিভিক ভোলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সেই অন্যতম অভিযুক্তর জামাকাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ দুদিন সময় নিল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিবিআই।
টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ফের তিন দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হল, তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা। এ ব্যাপারে আদালতে পেশ করা রিমান্ড লেটারে সিবিআই বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ধৃত সঞ্জয় রায়ে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে বিলম্ব।
সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, অপরাধের সময়ে সঞ্জয় রায় যে প্যান্ট, টি শার্ট বা জুতো পরে ছিল তা তদন্তের জন্য অপরিহার্য। সেই জামাকাপড়ের দ্রুত ফরেনসিক পরীক্ষা করার দরকার ছিল। কেন তাতে দেরি হল তা নিয়েও প্রশ্ন করা হবে টালা থানার ওসিকে।
সিবিআই আদালতে আরও জানিয়েছে, ঘটনার আগে পরে টালা থানার ওসির সঙ্গে আরজিকর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। দুজনের যে কল রেকর্ডের ডিটেল পাওয়া গিয়েছে তাতে কিছু সন্দেহজনক ফোনকলও রয়েছে। তারা কারা তাও জানতে চাইবে সিবিআই। দরকার হলে তাদের ডেকে পাঠানো হবে।
সন্দীপ ঘোষ ও টালার থানার ওসিকে তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্টও পেশ করেছে। যা দেখে মঙ্গলবার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, সিবিআই যা জানিয়েছে তা বিচলিত করে দেওয়ার মতো।
শুধু সঞ্জয়ের জামাকাপড় নয়, ময়নাতদন্তের সময়ে মৃতার জিন্সের প্যান্ট ও অন্তর্বাসও পাঠানো হয়নি। তা সেমিনার হলেই পড়ে ছিল। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার শুনানির সময়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবীরা। তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল শীর্ষ আদালতও।