শেষ আপডেট: 27th January 2025 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, কামারহাটি, বিধাননগর, বাগুইআটি, তপসিয়া। বহুতল হেলে পড়ার তালিকা দীর্ঘতর। গত দু'সপ্তাহে তাসের ঘরের মতো একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পাশাপাশি শহরের অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বহুতল ইস্যুতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকদের একাংশ। শুক্রবার বিকেলে এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মেয়র বলেছিলেন, "চুরির মাল যে কেনে পুলিশ কি তাকে ছেড়ে দেয়? তার বিরুদ্ধেও তো ব্যবস্থা গ্রহণ করে! তাই কেনার আগে মানুষকে নিজেকে দেখতে হবে। কষ্টের টাকা এভাবে জলে যাক, আমরাও চায় না।"
ফ্ল্যাট কেনার আগে কী কী দেখে নিতে হবে, তাও জানিয়েছেন ফিরহাদ। কলকাতার মেয়র বলেন, যে জমিতে ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে, তাঁর নক্সা-সহ প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে কিনা সেটা দেখা দরকার ক্রেতাদেরও। একই সঙ্গে ঠিকাদারের নাম রেজিস্টারে রয়েছে কিনা, সেটাও পুরসভা থেকে খোঁজ নেওয়া দরকার।
মেয়রের এই প্রতিক্রিয়া নিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বহুতলের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের মতে, পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই যদি কোনও বহুতল তৈরি হয়ে থাকে, মিউটেশন ও সম্পত্তি করের কোনও নথি যদি না মেলে, তাহলে সেখানে কীভাবে পুরসভার জলের লাইন, নিকাশি, এমনকী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়? আর এক্ষেত্রেই বেআইনি ফ্ল্যাট নির্মাণ নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে কাউন্সিলর এবং পুরসভার যোগসাজশ দেখছেন শহরের একাংশ বাসিন্দা।
তাঁদের মতে, নিজেদের দায় এড়াতেই মেয়র এমন কথা বলেছেন। যদিও ফিরহাদ স্পষ্ট করেছেন, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকেই বেআইনি বহুতল নির্মাণ ঠেকাতে পুরসভার তরফে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শহরবাসীকে সতর্ক করতেই তিনি ওই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বলে জানান। তাঁর মতে, "পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে কেনার আগে গ্রাহকদের আরও খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।"