শেষ আপডেট: 3rd January 2025 20:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভৌগলিক দিক থেকে ঘাটাল অনেকটা গামলার মতো। চারিদিক থেকে জল ঢুকলেও বেরতে পারে না। ফি-বারই সামান্য বৃষ্টিতেও বন্যা হয়।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবি দীর্ঘদিনের। এবার সেই প্ল্যানের জন্য প্রশাসনের তরফে জমির মাপজোকের কাজ শুরু হতেই এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাল্টা কমিটি গড়লেন দাসপুর ১ এবং ২ নম্বর বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
কমিটির সম্পাদক হরেকৃষ্ণ জানা বলেন, “প্রশাসনের পরিকল্পনায় ভুল আছে। যে এলাকা দিয়ে খালটি খনন করার কথা বলা হচ্ছে, তাতে প্রচুর তিন ফসলি কৃষিজমি, প্রচুর ঘরবাড়ি নষ্ট হবে। তাতে দাসপুরের দু’টি ব্লকে প্লাবন আরও বাড়বে।"
এ ব্যাপারে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ তথা দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত অবশ্য দাবি করেছেন, "বিষয়টি জানেন না বলে অনেকে বিরোধিতা করছেন। আশা করছি, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বেরবে।"
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে ইস্যু করেই গত বছর লোকসভা ভোটে বাজিমাত করেছিলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। ভোটে জেতার পর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করতে তৎপর হন দেব। এরপরই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দফতর।
মাস্টার প্ল্যানের জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে জমির মাপজোকও শুরু হয়েছে। এরপরই এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাল্টা কমিটি গড়ে ফেলেছেন বৈকুণ্ঠপুর, চাঁদপুর, ঝুমঝুমি, হরিরামপুর, সুরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বৈকুণ্ঠপুরের চন্দ্রেশ্বর খাল থেকে সুরতপুর শিলাবতী নদী পর্যন্ত নতুন করে খাল খনন করা হবে। এজন্য জমির মাপজোকের কাজে নেমেছে সেচ দফতর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ২০১১ সালে যে ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, তাতে এই খালের বিষয় নেই। অর্থাৎ প্রকল্পে এক উল্লেখ রয়েছে আর বাস্তবে কাজ হচ্ছে অন্য।