শেষ আপডেট: 14th August 2024 20:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, "সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকদের আবেদন জানাচ্ছি, আন্দোলন করেছেন। কেউ আটকায়নি।পায়ে ধরে বলছি এবার কাজে নামুন।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু তিন জন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন।" একথাও মনে করিয়েছেন, " চিকিৎসা করুন। তার জন্য আপনারা নিযুক্ত।’’
শুক্রবার থেকে বুধবার। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় টানা কর্মবিরতিতে নেমেছে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা। বুধবার ওই আন্দোলনে সামিল হয়েছে চিকিৎসক সংগঠনও। যার জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যুজড়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত চরম সঙ্কটের মুখে।
এই অবস্থায় তাঁদের আন্দোলনকে ন্যায্য দাবি করেও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মঙ্গলবারই আর্জি জানিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্য, আরজিকরে যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা করছে রাজ্য সরকার। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তাঁরাও জানাচ্ছে। এই ঘটনার অপরাধী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে, তদন্তও চলছে। কিন্তু আন্দোলনের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বহু মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, সেই দিকেও নজর দেওয়া দরকার, এমনই মত নারায়ণ স্বরূপ নিগমের। তিনি বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী নিহত চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। অপরাধী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে, যে কোনও তদন্তে এটা মনে হয়ে সবচেয়ে দ্রুত গ্রেফতারি। আরজি করে যা হয়েছে তার কঠোর নিন্দা করে সরকার।''
আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হয়েছে। তবে অনেকের সন্দেহ তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে এই ঘটনায়। তাই আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতেই চলছে লাগাতার আন্দোলন, আর তার জেরেই কর্মবিরতি। জুনিয়র ডাক্তারদের স্পষ্ট দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসির দাবিও তোলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীও এদিন বলেন, "এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে দোষীর ফাঁসি হোক, আমরাই চাই। কিন্তু তা বলে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।"