জলপাইগুড়ির ঘটনার পর ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রতীকী ছবি।
শেষ আপডেট: 5 July 2025 16:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে (classmate accused of sexual harassment)। ঘটনাটি কেন্দ্র করে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীটির মা। অভিযোগ জানানো হয়েছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতেও। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জুন। পরিবার সূত্রে দাবি, ক্লাস চলাকালীন সহপাঠী ছাত্রটি আপত্তিকর আচরণ করে এবং পরে ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশে হাত দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই পরিবারের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ইমেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। পরদিন স্কুলে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে গেলে প্রিন্সিপাল তাঁদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ পরিবারের।
ছাত্রীর মা জানান, প্রথমে বিষয়টি ক্লাস টিচারকে জানালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে প্রিন্সিপালকেও জানানো হয়। তাঁদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে যেতে চেয়েছিল। এমনকী এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই তাঁরা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এবং পুলিশের দ্বারস্থ হন।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ মান্না মুখোপাধ্যায় জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি শহরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানতে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্তরও।
গত ২৫ জুন সন্ধ্যেয় কসবা কলেজের (Kasba Case) মধ্যে ওই কলেজেরই এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক সিনিয়র এবং দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ চারজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। সামনে আসছে মনোজিতের একাধিক অপর্কীতি। যার জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জলপাইগুড়ির ঘটনার পর ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।