শেষ আপডেট: 23rd January 2025 21:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইনে মোট পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মামণি রুইদাস নামে একজনের মৃত্যু ঘটে, তিনজনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় কলকাতা নিয়ে আসা হয়। তাঁরা এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। মোট চারজনের মধ্যে যাঁর অবস্থা তুলনামূলক ভাল ছিল, সেই রেখা সাউ এতদিন মেদিনীপুর মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
টানা ১৬ দিন পর সেই রেখাই বাড়ি ফিরলেন অবশেষে। বৃহস্পতিবার তাঁকে যখন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন রেখার মুখে শোনা গেল আফসোসের সুর। কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, "সবাই সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরছে, আর আমার হাত খালি"।
১৪ জানুয়ারি রেখাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলার দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তখন ডিসচার্জ দেওয়া হয়নি। তখনও রেখার সদ্যোজাত সন্তানকে ভেন্টিলেশনে রাখা ছিল। চেষ্টা করেও শেষ অবধি তাকে বাঁচানো যায়নি। গত ১৬ জানুয়ারি মৃত্যু হয় রেখার সদ্যোজাতের। ময়নাতদন্তের পর তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার ঠিক সাত দিনের মাথায় রেখা বাড়ি ফিরলেন।
বস্তুত, জানুয়ারির ৮ তারিখে সন্তান প্রসবের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। যাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদেরও প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংক্রমণ দেখা দেয় কিডনিতে। অভিযোগ ওঠে রিঙ্গার ল্যাকটেট নামে স্যালাইন দেওয়ার ফলেই এহেন পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার পরই নড়েচড়ে বসে নবান্ন। স্যস্লাইন নিষিদ্ধ করে পদক্ষেপ নেওয়া হয় ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। যার রেশ এখনও অব্যাহত।