শেষ আপডেট: 14th April 2025 12:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়ে দিশেহারা ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে ক্লাসরুমের পরিবর্তে এখন তাঁদের ঠিকানা রাজপথ।
পরিস্থিতির জন্য এবার তৃণমূলের (TMC) পাশাপাশি সিপিএমকে (CPM) দুষলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপের কথায়, "আরজি কর এরাই ঘেঁটেছে। শিক্ষক নিয়োগ এরাই ঘেটেছে। এই দেশদ্রোহীদের চিনে নিন!"
সোমবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই একথা বলেন তিনি।
হঠাৎ দিলীপের নিশানায় সিপিএম কেন?
ঘটনার সূত্রপাত গত কয়েকদিন ধরে অশান্ত মুর্শিদাবাদে। এই মুহূর্তে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণেও। অশান্তির মধ্যে রবিবার ধুলিয়ানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ। সিপিএমের দাবি, নিহতরা তাঁদের সমর্থক।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই রাজ্য়ের প্রাক্তন শাসককে একহাত নিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "এরা কতবড় বজ্জাত। মারা গেছে হিন্দু। সেখানে ঢোক্কাছে সিপিএম। বলছে না হিন্দু মারা গেছে। এরাই লোককে বোকা বানিয়েছে। দেশভাগে ছিল কমিউনিস্টরা। দেশভাগের পর এরাই মুসলিম ভোটের জন্য ওদের মদত দিয়েছে। আজ যখন মানুষ সিপিএমকে তালাক দিয়েছে তখনও এদের অভ্যাস পাল্টায়নি। এখনও বলছে পার্টি সদস্য। আরে তোদের পার্টিই নেই তার আবার সদস্য কী?"
বামেদের সঙ্গে থাকা হিন্দু ভোটারদের উদ্দেশে দিলীপ এও বলেন, "হিন্দুদের ভাবা উচিত এদের আর সাপোর্ট করবে কিনা।"
বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, তার আগে হিন্দু ভোটারদের এককাট্টা করতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে পদ্মশিবির। এবারে রামনবমীতে তার প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে। ওই মহলের মতে, তৃণমূলের পাশাপাশি বামেদের সঙ্গে থাকা হিন্দু ভোটারদেরও নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া পদ্মশিবির। সে কারণেই মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের নিশানায় এবার বামেরাও।
এ ব্যাপারে অবশ্য আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, "তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই, ওরা চায় ধর্মের উস্কানি দিয়ে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে বাংলাকে ধ্বংস করতে। আমরা থাকতে সেটা হতে দেব না।"
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলকে দায়ী করে দিলীপ বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ। এখানে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে। তাঁদের ঘরবাড়ি লুট হচ্ছে। অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। ফলে দেশভাগের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।ভারতে এটা কল্পনা করা যায় না।"
আক্রমণ করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। দিলীপ বলেন, "এদের জেলে যাওয়া উচিত। মমতা একবার তাকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। তাই এখন তিনি যা বলছেন ইনিও (রাজীব) তাইই বলছেন। এই ধরনের অফিসারের ওপর কে ভরসা করবে? যারা অপরাধ করছে ইনি তাদের থেকেও বেশি অপরাধী।" এ ব্যাপারে রাজীব কুমারের অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রতিক্রিয়া জানা গেলে প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।