শেষ আপডেট: 13th September 2024 22:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে আইনি জটিলতা কাটিয়ে শুক্রবার রাতে জেলমুক্তি ঘটল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর।
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজত শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক। ২৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে এদিন সন্ধেয় মুক্তি পান তিনি।
জেল থেকে বাইরে এসে মানিক বলেন, "আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল। প্রায় ২ বছর জেলে থাকতে হল।"
একই সঙ্গে তিনি বলেন, "আমি আদালতে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বিচারককে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যদি একটাও প্রমাণ দেখাতে পারে তদন্তকারী সংস্থা তাহলে আমি জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেব।"
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বৃহস্পতিবার শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। আদালত জানিয়েছিল, ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ও ১০ লক্ষ টাকার রেজিস্ট্রার বন্ডে জামিন নিতে হবে মানিককে।
সূত্রের খবর, জটিলতা তৈরি হয় ১০ লক্ষ টাকার রেজিস্ট্রার বন্ডকে ঘিরে। এই বন্ড কিনতে হয় মুহুরিদের কাছ। কিন্তু একদিনে একজন মুহুরি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বন্ড বিক্রি করতে পারেন। অর্থাৎ ২০ জন মুহুরি প্রয়োজন। এক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেওয়ায় শুক্রবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। পরে তাঁর জামিনেব মুক্তি নিশ্চিত করে আদালত।
তবে জামিন পেলেও মানিকের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দিয়েছে আদালত।মানিকের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। প্রমাণ লোপাটের কোনও চেষ্টা করা যাবে না। দুর্নীতিমুলক কোনও কাজ করা যাবে না, এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করা যাবে না। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে এও জানান, তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। নিজের ফোন নম্বর দিয়ে রাখতে হবে তাঁদের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকেও গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্ট পরে তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দেয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান মানিকের পুত্র শৌভিক।