শেষ আপডেট: 6 January 2024 04:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দিনভর জেরার পর শুক্রবার মাঝরাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল? কী কী অভিযোগ রয়েছে শঙ্করের বিরুদ্ধে?
ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে শঙ্করের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিটের শঙ্করের 'আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড'-এর সংস্থা মূলত কারেন্সি লেনদেনের কাজ করে। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা দিয়ে এই সংস্থার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা ও সোনা কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে বলেও খবর।
যদিও ইডির দাবি মানতে নারাজ শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। তিনি তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার উপ পুরপ্রধান। শুক্রবার গভীর রাতে যখন শঙ্করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান ইডি অফিসাররা, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন জ্যোৎস্না। তাঁর দাবি, শঙ্কর আঢ্যকে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে। দিনভর ইডি অফিসাররা শঙ্করের বিভিন্ন কোম্পানির ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। সওয়া ১২টা নাগাদ একজন অফিসার আসেন। তিনি একটা কাগজ দেখিয়ে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি শঙ্করের নাম নিয়েছেন। আর তাই বলেই নাটক করে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি জ্যোৎস্নার।
শনিবারই ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে তোলা হবে। তার আগে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য। তারপরই তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে যখন শঙ্করকে গাড়িতে তোলা হয়, তখন তিনি বলেন, 'ইডির কাছে আমার আবেদন সঠিক পথে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। তদন্তকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।'
ইডি সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে শঙ্করের বাড়ি থেকে। উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। শুক্রবার শুধু শঙ্করের বাড়িতে নয়, তাঁর ভাইয়ের আইসক্রিম কলেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও তাঁর শ্বশুর বিনয় ঘোষের বাড়িতেও যান তাঁরা।