অমিত মালব্য।
শেষ আপডেট: 28 September 2024 02:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলার নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য।
এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলাকে লঘু করার অপরাধে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ। টুইটে ওই প্রসঙ্গ টেনে অমিতের দাবি, "এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।'
সন্দেশখালি থেকে আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন অমিত। টুইটে লিখেছেন, "বন্দুকের নলের সামনে দু'দিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। ওই মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট এবং লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যয় বিচার থেকে বঞ্চিত।"
After rape and murder of a young woman doctor at RG Kar Medical College & hospital, another SHOCKING incident emerges from West Bengal.
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 27, 2024
In the area, under the jurisdiction of Lake Police Station, wife of an IAS officer was raped over two days, on July 14-15th, at gunpoint.
The… pic.twitter.com/rL7rspVy4s
এরপরই অমিতের প্রশ্ন, "যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র এবং প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল তা কল্পনা করা যায়?"
ঘটনার সূত্রপাত, গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। পরে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলার বয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যে কারণে গ্রেফতারের পরের দিন অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিনও পেয়ে যান।
শুক্রবার ওই মামলায় মামলার তদন্তকারী অফিসার-সহ অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবিলম্বে সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অমিতের বক্তব্য, "এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।"