রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) দফতরের অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে অব্যাহতি করা হল আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে।
রাজ্য পুলিশে ও সচিব স্তরে রদবদল
শেষ আপডেট: 4 June 2025 01:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) দফতরের অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে অব্যাহতি করা হল আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে। রাজ্যপালের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইএএস অফিসার অনুপকুমার আগরওয়ালের হাতে। তবে রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি পদে আগের মতোই থাকছেন রাজীব।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজি (সিআইডি) পদে থাকাকালীন রাজীব কুমারকে হঠাৎ করেই তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রশাসনিক রীতিনীতি অনুযায়ী, ওই পদ সাধারণত এক জন আইএএস অফিসারের জন্য নির্ধারিত 'ক্যাডার পোস্ট' হিসেবেই স্বীকৃত। ফলে রাজীব কুমারের ওই পদে নিয়োগ স্বাভাবিক ধারার ব্যতিক্রম হিসেবে নজরে আসে প্রশাসনিক মহলে। তৎকালীন পরিস্থিতিতে একে রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন পদক্ষেপ হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছিলেন অনেকে।
এতদিন ধরে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন রাজীব কুমার, যিনি পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ১৯৮৯ ব্যাচের এক অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে নিযুক্ত করা হয়। তবে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয়। ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হতেই আবার তাঁকে ডিজির দায়িত্বে পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার। সেই দায়িত্বেই আপাতত বহাল থাকছেন তিনি।
এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন আইএএস অনুপকুমার আগরওয়াল। প্রশাসনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনুপকুমার নিজেও এক দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত। তাঁর হাত ধরেই এখন রাজ্যের ডিজিটাল পরিকাঠামো ও তথ্যপ্রযুক্তিনীতির রূপরেখা নতুন করে সাজানো হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক মহলের অনেকে।
নবান্নের তরফে প্রকাশিত তালিকা অনুসারে রদবদল হয়েছে রাজ্য পুলিশেও:
এই রদবদলকে কেউ কেউ দেখছেন এক অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস হিসেবে, আবার কেউ বলছেন, রাজীব কুমারের ওপর সরকারের আস্থা এখনও অটুট থাকলেও, তাঁকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ পদেই মনোনিবেশ করতে দিতে চাইছে নবান্ন। তবে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই রদবদলের কোনও কারণ প্রকাশ করা হয়নি। প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের রদবদল নিয়ে নানামহলে কৌতূহল তৈরি হলেও রাজ্য সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এটি রুটিন রদবদল।