রাজ চক্রবর্তী।
শেষ আপডেট: 13 December 2024 14:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি কাজে গাফিলতি বরদাস্ত না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের কাজে গাফিলতির অভিযোগে ১৫৫ জন ঠিকাদার, ১৯ জন ইঞ্জিনিয়রকে শোকজও করেছে নবান্ন। এবার সেই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালের উন্নয়নে বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন রাজ। অভিযোগ, টাকা বরাদ্দ হওয়ার দু'বছর পরেও ঢিমেতালে কাজ চলছে। শুক্রবার হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে কাজের গতি দেখেই রেগে যান রাজ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করার হুঁশিয়ারিও দেন।
রাজের কথায়, "যারা কাজটা পেয়েছে, তারা খুব স্লো গতিতে কাজ করছে। এতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। ঠিকাদারের গয়ং গচ্ছ মানসিকতার জন্য সরকারের বদনাম হচ্ছে। এ জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না। কাজে গতি না আনলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে।"
হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রাজ এদিন জানতে পারেন ন্যহ্য মূল্যের একটা কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও আবার আরও একটি ওষুধের কাউন্টার খোলা হয়েছে। দু'জায়গায় দু'রকম দামে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। রাজের কথায়, "একজন থাকা সত্ত্বেও আর একজন টেন্ডার পেল কীভাবে, কারা যুক্ত, কে টেন্ডার পাইয়ে দিল, এগুলো আমাদের জানতে হবে। যিনি বাঁকাপথে টেন্ডার পেয়েছেন তাঁকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে।"
ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালের ওপর এলাকার হাজার হাজার মানুষ নির্ভরশীল। রাজের কথায়, বিধায়ক হিসেবে এলাকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি চেষ্টা করছি কীভাবে হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিষেবায় উন্নতি করা যায়। আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে আবারও টাকা বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু কাজটাই যদি সময়ে শেষ না হয়, তা হলে তো বরদাস্ত করার প্রশ্নই নেই।
এদিন হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জয় গুহ, কাউন্সিলর নৌসাদ আলম-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।