শেষ আপডেট: 8th August 2023 06:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হতেই খুইয়েছিলেন সাংসদ পদ। সেই রায়ে ‘সুপ্রিম’ স্থগিতাদেশ দিতেই 'মেগা কামব্যাক' হয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। সোমবারই লোকসভায় প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। আর আজ মণিপুর হিংসা নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব (No-Confidence Motion) নিয়ে আলোচনায় বিরোধীদের তরফে আলোচনার সূচনা করবেন রাহুল। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে লোকসভায় শুরু হবে আলোচনা। বক্তৃতা করবেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। সরকারের তরফে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রাহুল গান্ধীই অনাস্থা আলোচনায় (No-Confidence Motion) ইন্ডিয়ো জোটের মুখ হতে চলেছেন। মোদী-পদবী মামলায় সাংসদ পদ বাতিল হয় তাঁর। তার পর দীর্ঘ সাড়ে চার মাস সংসদের বাইরে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত সংসদে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর। জুন মাসে মণিপুরও ঘুরে এসেছেন রাহুল। তাই তিনি কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
গত ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু মণিপুর হিংসা নিয়ে বার বার অধিবেশন মুলতবি করতে হয়েছে। বিরোধীদের তরফে বার বার প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা হলেও, সরকারের তরফে সদর্থক বার্তা দেওয়া হয়নি। তাতেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব (No-Confidence Motion) জমা দেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, সরকার ফেলা লক্ষ্য নয় তাঁদের, মণিপুর নিয়ে প্রধীনমন্ত্রীর নীরবতা ভাঙাই লক্ষ্য। আজ অনাস্থা প্রস্তাবে কংগ্রেসের হয়ে বক্তব্য় রাখার কথা ছিল সাংসদ গৌরব গগৌ। কিন্তু সোমবারই রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় কংগ্রেস চায়, আজ অনাস্থা প্রস্তাবে গৌরব গগৌয়ের বদলে রাহুল গান্ধীই বক্তব্য রাখুক।
আরও পড়ুন: ডেরেক ও’ব্রায়ান সাসপেন্ড! বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ
জানা গেছে, বিজেপির তরফে অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আলোচনা শুরু করবেন নিশিকান্ত দুবে । বিজেপির পক্ষ থেকে প্রায় ২০ জন বক্তা থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছে স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারামন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং রাজবর্ধন সিং রাঠোরের নাম।
মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবিতে গত ২৬ জুলাই কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন সাংসদ গৌরব গগৌ। স্পিকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির তরফে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ৮ অগস্ট থেকে ১০ অগস্ট অবধি সময় ধার্য করা হয়। আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর জবাবি বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা চলবে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। এরপর ৯ অগস্ট আবারও দুপুর ১২টা থেকে আলোচনা শুরু হয়ে চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। ১০ অগস্ট, আবার আলোচনা দুপুর ১২টায় শুরু হবে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী বিকাল চারটেয় অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দেবেন।
এর আগে ২০১৮ সালেও অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় মুখোমুখি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই রাহুল গান্ধী চোখ মারেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন, যা নিয়ে এখনও চর্চা হয়।