শেষ আপডেট: 24th September 2023 12:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিধানসভার নির্বাচন (Assembly Election) রাজস্থান, ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামে। এরমধ্যে রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আছে। মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় ভাল অবস্থায় আছে হাত শিবির (Congress), ইতিমধ্যে একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টে সেরকমই বলা হয়েছে।
রবিবার রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে কংগ্রেসের জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত। তেলেঙ্গানাতেও কংগ্রেস ভাল ফল করবে। আর রাজস্থান? প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘রাজস্থানে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে।’ কংগ্রেস জিতবে বা ভাল ফল করবে, এর কোনওটাই রাজস্থান নিয়ে বলেননি রাহুল।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির রাজস্থান নিয়ে মন্তব্য ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। দলের অনেকেই রাহুলের কথায় বিস্মিত। তাঁদের বক্তব্য, রাজস্থানে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের গোলমাল মিটিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। মিটমাটের বৈঠকে রাহুলও ছিলেন। তারপর রাজ্যের দুই নেতা ফের এক মঞ্চে হাজির হচ্ছেন। বরং বিরোধী দল বিজেপিতে তুমুল গোষ্ঠী বিবাদ চলছে। তারপরও রাহুল কেন রাজস্থানে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন, তা অনেকের কাছেই বোধগম্য হচ্ছে না। রাহুলের কথাকে প্রচারে কাজে লাগাবে বিজেপি, এমন আশঙ্কাও করছে দলের একাংশ।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে রাজস্থান, ছত্তীসগড়ের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশেও জিতেছিল কংগ্রেস। রাহুল তখন ছিলেন দলের সভাপতি। প্রচারেও দলের মুখ ছিলেন রাহুল। কিন্তু দলীয় কোন্দলে এক বছরের মাথায় মধ্যপ্রদেশে সরকার হাতছাড়া হয়। রাজস্থানে আবার সরকার টিকে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিবাদে কংগ্রেসের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে।
কংগ্রেসের একাংশের ব্যাখ্যা, রাহুল আসলে রাজস্থানের নেতৃত্বকে চাপে রাখতেই ওই রাজ্যে জয়ের ব্যাপারে প্রকাশ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের অবস্থা আগের তুলনায় ভাল, সে কথা একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টেও উঠে এসেছে। সেখানে শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির বিরুদ্ধে বিজেপি বছর খানেক আগে তেড়েফুঁড়ে উঠলেও বিরোধিতার রাশ ধরে রাখতে পারেনি। ভোটের লড়াইয়ে প্রধান বিরোধী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: রবিবার আচমকা লালু-রাবড়ির বাড়িতে নীতীশ, বিহারে হচ্ছেটা কী!