শেষ আপডেট: 16 March 2024 16:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: র্যাম্প মাতালেন রচনা!
হুগলিতে তৃণমূলের জনগর্জন সভায় র্যাম্পে হেঁটে, ঘুরেফিরে প্রচার করলেন ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এবারের ভোট প্রচারে অন্যতম আকর্ষণই হল এই র্যাম্প। ব্রিগেড মাঠের সভায় ৩৩০ ফুটের র্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। দর্শকাসনে থাকা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আরও বেশি জনসংযোগ গড়ে তুলতেই এই র্যাম্প বলে জানা গিয়েছিল। এর ফলে দর্শকাসনে বসে একেবারে সামনে থেকে নেতা-নেত্রীদের দেখতে পাবেন কর্মীরা। এর মাধ্যমে সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে আরও বেশি জনসংযোগ গড়ে তোলা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আজ হুগলির জনগর্জন সভাতেও এমন র্যাম্প দেখা গেছে। এই র্যাম্পে হেঁটেই প্রচার শুরু করেছেন ‘দিদি নম্বর ১’।
এদিনে সিঙ্গুরে জনগর্জন সভায় রচনা বলেন, “সিঙুর হচ্ছে প্রথম আন্দোলনের জায়গা। যেখান থেকে একসময় দিদি লড়াই শুরু করেছিলেন। আজ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সিঙুর থেকে লড়াই। আমি আমার ১০০ শতাংশ দেব।” রচনার কথায়, ‘‘এখানকার মাটি আন্দোলনের মাটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকেই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আর এই মাটিই আমি নিয়ে যাব দিদির জন্য। আর বলব, তোমার সিঙ্গুর থেকেই আমি আমার প্রচার শুরু করলাম।’’
একই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটের সঙ্গেই টক্কর হবে রচনার। তবে প্রচারের শুরুতে রচনা জানিয়ে দেন তিনি কাদা ছোড়াছুড়িতে বিশ্বাসী নন। চেষ্টা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে হুগলি জেলা যেন সকলের উপরে থাকে।
হুগলির তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন সিঙ্গুর থেকেই প্রচার শুরু করবেন তিনি। সেই মতো শনিবার দুপুর দু'টো নাগাদ সিঙ্গুরে পৌঁছন রচনা। সিঙ্গুরের ডাকাত কালীমন্দিরে পুজো দেন তিনি। পাশের একটি শিব মন্দিরও পুজো দেন। ডাকাত কালীমন্দির থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে রতনপুর লোহাপট্টিতে যান রচনা। পথে দেওয়ালে নিজের নাম লিখতে নিজেই তুলি ধরেন। সিঙ্গুরের লোহাপট্টি সেবা সমিতিতে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বিধায়ক, ব্লক ও শহরাঞ্চলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।