শেষ আপডেট: 24 October 2023 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম : রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেই শান্তিনিকেতনকে চিনেছিল বিশ্ব। কিন্তু ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর যে ফলক শান্তিকেতনে বসানো হয়েছে, তাতে নেই গুরুদেবের নাম! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারদোৎসবের মধ্যে আরও বিতর্কে তৈরি হয়েছে।
শান্তিনিকেতনে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' ফলকে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বিশ্ববাসী কবির কর্মভূমি হিসাবে সঙ্গে শান্তিনিকেতন চেনেন। বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য তারই প্রমাণ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের ইউনেস্কোর সমাবেশ থেকে বিশ্ব কবির শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ'-এর তকমা দেওয়া হয়। ঘোষণার পরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভেসে গিয়েছিল ইউনেস্কোর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল। গর্বিত হয়েছিলেন আশ্রমিকরা।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষে একটি পদক্ষেপ সেই সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশিয়ে দিল বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগেই উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, ছাতিমতলা প্রভৃতি জায়গায় শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে খোদাই করা ইউনেস্কো 'বিশ্ব ঐতিহ্যে সাইট'। নীচে লেখা রয়েছে আচার্য নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা ফলক থেকেই ব্রাত্য স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম৷
বিশ্বভারতীতে কোন উদ্বোধনী ফলক, বা স্বীকৃতি ফলক বসানোর নিয়ম নেই। তাই আশ্রমিক, পড়ুয়া ও শান্তিনিকেতনবাসীর অভিযোগ, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিজেদের নাম প্রচারের আলো নিয়ে আসার জন্য এই ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, "এতে নতুন কথা কী আর আছে৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও আদর্শটাকে মানা হয় এখন বিশ্বভারতীতে৷ এই নিয়ে নিন্দার ভাষা নেই।"