শেষ আপডেট: 15th March 2025 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোচবিহারে (Cooch Behar) সেভাবে বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে না পারলেও পুরসভাগুলোর নড়বড়ে দশা। নতুন বছরের শুরু থেকেই হয় সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যানদের (Chairman) সরানো হচ্ছে, না হলে তার প্রক্রিয়া চলছে। তৃণমূলের (Trinamool) গোষ্ঠী রাজনীতির দরুন পুর পরিষেবাকে ছাপিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে একটাই প্রশ্ন, চেয়ারম্যানের চেয়ার আদৌ সুরক্ষিত তো?
ক'দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ধমক খেয়ে, ববি হাকিমের কথা মেনে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মলয় রায়। নাগরিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। যদিও মহকুমা শাসকের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও যায়নি। যে কারণে মলয়কে আস্থা প্রমাণ করতে বলে চিঠি দিয়েছেন ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক।
পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও, স্থানীয় অমরাবতী মাঠের বড় অংশ আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রির পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। প্রায় ৮৫ বিঘার ওই মাঠ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দলের কাউন্সিলরেরাই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
মলয়ের মতো একই দশা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষেরও (Rabindranath Ghosh)। জানুয়ারি মাসে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর অনাস্থা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছিল, চেয়ারম্যান নিজেই সব করছেন। রাসমেলায় দোকান ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পুরসভার আয় হলেও রবীন্দ্রনাথ সেই হিসেবে পেশ করেননি, এহেন অভিযোগ এনে সাত সাতজন কাউন্সিলর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
যদিও নিজের চেয়ার নিয়ে ডামাডোল হতে পারে মনে করে তড়িঘড়ি বিক্ষুব্ধদের নিয়ে আলোচনাও করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এলাকায় নতুন নতুন কাজ করে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু চেয়ারম্যানের কুর্সি পক্ত করা যাচ্ছে না কিছুতেই। সেই কারণেই সূত্রের খবর তাঁকেও তৃণমূল থেকে বলে দেওয়া হতে পারে চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এখন দেখার যদি সেই সূত্র ঠিক হয় তাহলে রবীন্দ্রনাথ বাধ্য ছাত্রের মতো অব্যাহতি দেন নাকি পুরসভার মাথা হয়ে থাকতে পানিহাটির মলয়ের মতো আচরণ করেন।