কলতান দাশগুপ্ত
শেষ আপডেট: 18th September 2024 14:44
দ্য় ওয়াল ব্য়ুরো: সল্টলেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে আক্রমণের ছক কষেছেন, ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে এমনই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কলতান।
এদিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, কলতান দাশগুপ্তকে একটি অডিও ক্লিপিং এর ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে অশান্তি সৃষ্টির পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। তাঁর ভয়েস টেস্ট করা হয়নি। যে অডিও ক্লিপিংয়ে পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানে একমাত্র ১৯৬ ধারা জামিন অযোগ্য। বাকি সব ধারা জামিন যোগ্য।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "পুলিশের করা এফআইআর খারিজ করার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। কারণ কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শুধুমাত্র একটি অডিও ক্লিপিং এর ভিত্তিতে। তাকে ৪১এ, ধারায় কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি।"
এরপরেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, একটি ফোন নম্বর থেকে একটি ফোন গেল আর পুলিশ কোনও পরীক্ষা না করেই নিজেরাই কনফার্ম হয়ে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিল? কত মিনিট ফোন? কোন আইডি থেকে কোন আইডি তা পুলিশ খতিয়ে দেখেছে কি?
সরকারি আইনজীবী জানান, ১৩ তারিখ দুটি ফোনে দুজনের কথোপকথন হয়। ১৪ তারিখ গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করার পর তাঁর ফোন থেকে পুলিশ কল রেকর্ড পায়। ১৬১ ধারায় গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল দুই অভিযুক্তের। সেখানে তারা বলেছে কথোপকথন হয়েছিল। দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এরপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ১৬১ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু কী কথা হয়েছে তারা কি বলেছে? এর উত্তরে সরকারি আইনজীবী জানান, মোবাইল ফোনের কথোপকথন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পরিষ্কার।
বিচারপতি: ষড়যন্ত্র করার কারণ কী? ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্য কী ছিল?
কলতানের হয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, প্রথম সঞ্জীব দাসের বিরুদ্ধে পুলিশের করা এফআইআর ও কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করার আগে পুলিশের এফআইআরের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ প্রথমে গ্রেফতার পরে এফআইআর করা হয়েছিল। শুনানি এখনও চলছে।
সল্টলেকে আন্দোলনরত ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে আক্রমণের ছক কষা হচ্ছে এমন একটি ভয়েজ রেকর্ড সামনে আনেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তার ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বিধাননগর কমিশনারেট। ওই মামলাতেই গত শনিবার সকালে কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনএসের ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩(এ)(বি)(২), ১৯৬ ও ৬১ ধারা দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর আদালত কলতানকে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এবার এই এফআইআর খারিজ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কলতান।