শেষ আপডেট: 3rd September 2024 18:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরেই লালবাজারের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আন্দোলন যে আরও জোরদার হবে, দিলেন সেই বার্তাও। মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের ২২ জনের প্রতিনিধিদল প্রায় দেড়ঘণ্টা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বেরিয়ে এসে তাঁরা জানান, কমিশনার তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁকে স্মারকলিপিটিও পড়ে শুনিয়েছেন। তবে কলকাতা পুলিশের তদন্ত চলাকালীন যে প্রশ্নগুলি তাঁদের মনে উঠেছে সেগুলির কোনও সদুত্তর পাননি।
দাবি মতোই স্মারকলিপি আর প্রতীকী শিড়দাঁড়া নিয়ে এদিন লালবাজারে ঢোকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই প্রতীকী শিড়দাঁড়া টেবিলের উপর রেখেই কথা বলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে। ছবিও তোলা হয় তার। এরপরেই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁরা যে সিপির পদত্যাগ দাবি করছেন, এটা জানিয়েছেন তাঁকে। সিপি তাঁদের বলেছেন, যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চান তাহলে সরতে রাজি আছেন তিনি। তবে আরজি করের সেমিনার রুমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যে ভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল কলকাতা পুলিশ, তা নিয়ে তাঁদের বেশকিছু প্রশ্ন ছিল। সেগুলির সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ।
আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে সোমবার লালবাজার অভিযানে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারা। মিছিল আটকাতে দুটি ব্যারিকেড করে পুলিশ। সেই ব্যারিকেডের বাইরেই আটকে দেওয়া হয় ছাত্রদের। তবে পিছু না হটে সোমবার রাতভর সেখানেই অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতে পুলিশ কর্তারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফের মঙ্গলবার বেলা ১২ টা নাগাদ অবস্থানরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে। রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল যাতে ওই জায়গা থেকেই লালবাজারে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসে, সেই অনুরোধও জানান। আগের রাতের মতোই সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তাঁরা জানিয়ে দেন, হয় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিজে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সেখানেই তাঁকে স্মারকলিপি পড়ে শোনানো হবে এবং তিনি সেটি গ্রহণ করবেন। না হলে ডাক্তারদের মিছিলকে লালবাজারের দিকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত এগোতে দিতে হবে। সেখান থেকে ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধিদল লালবাজারে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন। এর কোনওটাই না শোনা হলে পদত্যাগ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। শেষপর্যন্ত পিছু হটে জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি মেনে লালবাজার পর্যন্ত তাঁদের মিছিল করে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।
পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা এও জানিয়ে দেন, লালবাজারের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেও বিচারের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।