শেষ আপডেট: 13th January 2025 12:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় বিষাক্ত স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এবার আদালতের হস্তক্ষেপে তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
সোমবার এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আদালত সূত্রের খবর, মোট তিনটি মামলা দায়েরের আর্জি ছিল। চলতি সপ্তাহেই সবকটি মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যে কোম্পানির স্যালনটিকে ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, সেটির কারখানাও রয়েছে এ রাজ্যেই। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তিনমাইল হাটে রয়েছে সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানির কারখানা।
চোপড়ার এই কারখানার স্যালাইন ব্যবহার করে গত বছর কর্নাটকে পাঁচজন রোগিনীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই গত নভেম্বরে ওই ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন পরীক্ষা করে কর্নাটক ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো সেটিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে। দাবি করা হয়, স্যালাইনে যে নমুনাগুলি ব্যবহার করা হয়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইনে তা অত্যন্ত নিম্নমানের।
গত বছরের ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর কর্নাটক ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো, কেন্দ্র এবং এ রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিদের নিয়ে টানা ৩ দিন ধরে চোপড়ার ওই কারখানায় অভিযানও চালায়। সূত্রের দাবি, এরপরই এ রাজ্যেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
অভিযোগ, শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে রোগিনীকে ওই নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়ার পরই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়েই আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জি জানিয়ে এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
এব্যাপারে আদালতে প্রধান বিচারপতি জানান, 'সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও করছে'। মামলাকারীদের তরফে এও বলা হয়, মেদিনীপুরের ঘটনার পরও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এখনও ওই স্যালাইন দেখা যাচ্ছে। এরপরই মামলা গ্রহণ করে আদালত।